কুরবানির শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্যমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
কুরবানির শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ত্যাগের বোধের মাধ্যমেই সাম্য আর মৈত্রী সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার সকালে বঙ্গভবনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে হবে। ধর্মের মূল বাণী মনে ধারণ করে সকল অশুভ এবং অকল্যাণকে পরিহার করে মানব কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহবানও জানান তিনি।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বুধবার দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। বুধবার ঈদের নামাজের পর সারা দেশে শুরু হয়েছে পশু কুরবানি।
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সামর্থ্যবান মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আজহার নামাজের পর রাজধানীতে পশু কুরবানি শুরু করেছেন।
বুধবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।