‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা রাখবে ওআইসি’

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মহলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে ভূমিকা রাখবে ওআইসি।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে একথা বলেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আলী আসগর মুহাম্মদী সিজানি।
বুধবার দুপুরে সিজানির নেতৃত্বে সংস্থার সদস্যভভূক্ত নয় দেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
সকাল ১১ টার দিকে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ইউএনএইচসিআরের ট্রানজিট ক্যাম্পে যান।
তারা সেখানে নতুন আসা ৫০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। রোহিঙ্গারাও প্রতিনিধি দলটির কাছে তাদের ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের কাহিনী তুলে ধরেন।
পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কুতুপালং ডি-৪ ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। সেখানে ইউএনএইচসিআরের সম্প্রসারিত কার্যক্রম তারা ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তারা পৌঁছেন কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে। সেখানে ইউএনএফপিএ’র নারী বান্ধব কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং নির্যাতিত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন । এ সময় সেখানকার ইউনিসেফ পরিচালিত শিশু বান্ধব কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন তারা।
আলী আসগর মুহাম্মদী সিজানির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন- ডিরেক্টর অব কনফারেন্স জাহিদ হাসান কুরাইশি, ইরানের সংসদ সদস্য ছৈয়দ হেমায়েত মিরজাদি ও মোহাম্মদ হোসাইন কুর্ডলু, তুরুস্কের হেড অব ডেলিগেশন ওরহান এ্যাটালাই ও মমতাজ জারনি, মালয়েশিয়ার ডেপুটি স্পিকার রশিদ বিন হাসানুন ও মহসিন বিন আব্দুল মালেক, আলজেরিয়ার সংসদ সদস্য ইউসেফ এডজিদা, সুদানের ওমর ইবনে দাউদ, মরক্কোর মোহাম্মদ ওজাইন এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব স্বর্ণালী চন্দা প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের কাছে আলী আসগর মুহাম্মদী সিজানি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ওআইসি আন্তর্জাতিক মহলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষ্যে ওআইসি মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য রক্ষা করে সার্বিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
ওআইসি’র এ ভূমিকায় রোহিঙ্গারা সম্মানজনক নাগরিক অধিকার ও মর্যদা নিয়ে স্বদেশে ফিরতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিজানি।