ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য সে দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পরিবহনের অনুমতির খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া চুক্তিটির অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন বি ইউজড অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া বিটুইন দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দি রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া’- এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে তাদের চারটি বন্দরে পণ্য পরিবহন করতে পারবে। তবে এখানে প্রভিশন রাখা হয়েছে নেপাল ও ভুটান যদি ইচ্ছা প্রকাশ করে তবে তারাও যুক্ত হতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সুদীর্ঘ করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহার করা হবে, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম (গ্যাট) এবং দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে, শুল্ক বিভাগ ডিউটিজ অ্যান্ড ট্যাক্সেস সমপরিমাণ বন্ড গ্রহণ করা হবে। মালবাহী কার্গো শনাক্তকরণের জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শুল্ক ও ট্যাক্স তাদের দিতে হবে।
রুট সম্পর্কে শফিউল বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট টু আগরতলা ভায়া আখাউড়া, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট টু ডাউকি ভায়া তামাবিল, চট্টগ্রাম ও মোংলা টু সুতাকান্তি ভায়া শেওলা, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট বিবিরবাজার ভায়া সীমান্তপুর।
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনুসারে মালামাল পরিবহন অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব।
তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, নৌ সচিবদের নেতৃত্বে গঠিত ইন্টার গর্ভমেন্ট কমিটির মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার নিরসন করা হবে এবং উভয় দেশের কর্মকর্তা সমন্বয়ে কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সাব গ্রুপ গঠন করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোন পক্ষের চুক্তির বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করার সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, এ চুক্তিটি ৫ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে এবং পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আরও ৫ বছরের জন্য নবায়নের সুযোগ থাকবে। তবে ৬ মাসের নোটিশে যে কোন পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে পারবে।