শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পদত্যাগ করতে ট্রুডোকে নিজ দলের সংসদ সদস্যদের চাপ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 6 October, 2018 17:22

ঢাকায় আবারও আসছে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল

ঢাকায় আবারও আসছে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল
ফাইল ছবি
ঢাকা অফিস :

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আবারও আসছে মিয়ানমারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। আগামী ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর এ প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে।

সফরকালে প্রতিনিধি দলের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথাও রয়েছে।

এর আগে গত মে মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। এবারও মিন্ট থোয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা আসতে শুরু করে। এর আগে থেকেই ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজার অঞ্চলে বসবাস করছিল। আর এবার আরও প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে। সব মিলেয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন কক্সবাজার অঞ্চলে বসবাস করছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে একটি চুক্তি সই হয়েছিল, চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আগামী দুই বছরের মধ্যে ফেরত নেয়া শেষ হবে। প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার।

যেখানে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে প্রতিদিন ফেরত পাঠানোর সংখ্যা মাত্র ৩০০, যা অতি নগণ্য। যদিও চুক্তিতে বলা হয়েছে তিন মাস পর এ সংখ্যা পর্যালোচনা করে বাড়ানো হবে। এ চুক্তি অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল।তবে এখনও পর্যন্ত চুক্তির কোন আসানোরুপ অগ্রগতি নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করে। এই প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুলও উপস্থিত ছিলেন।

ওই সফরে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধা, চলাফেরা ও জীবনযাত্রাসহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের পর নিয়মিত বৈঠকে অংশ নিতে এবার ঢাকায় আসছে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল।

উপরে