মাদক বহন ও বিপণনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
মাদকদ্রব্য বহন, সেবন, বিপণন, মদদ দান ও পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভায় এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো ব্যক্তি ৫ গ্রামের বেশি পরিমাণে ইয়াবা বহন, সেবন, বিপণন, মদদ দেওয়া ও পৃষ্ঠপোষকতা করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে। তবে যদি এর পরিমাণ ৫ গ্রামের নিচে হয় তাহলে সর্বনিম্ন ১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। এর সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে।
তিনি বলেন, হিরোইন, শিশা বা কোকেনের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রামের বেশি বহন, সেবন, বিপণন, মদদ দান ও পৃষ্ঠপোষকতা করলে তার ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। যদি এর পরিমাণ ২৫ গ্রামের কম হয় তাহলে সর্বনিম্ন ২ বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হবে। এর সঙ্গে অর্থদণ্ডও করা যাবে।
এ আইন অনুমোদনের ফলে মাদক ব্যবসায়ীদেরও শাস্তির আওতায় আনা যাবে বলে জানান তিনি।
শফিউল আলম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের আগের আইনটি ১৯৯০ সালে করা। ২৮ বছরের পুরনো আইনটির সঙ্গে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সব আইনের সমন্বয় করে নতুন খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
নতুন আইনে এই সময়কালে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হেরোইন-কোকেনসহ সমজাতীয় ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত মাদকদ্রব্য ২৫ গ্রাম বা তার বেশি পরিমাণে বহনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৫ গ্রামের কম বহনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের এবং সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদি কোনও পানীয়তে ০ দশমিক ৫ শতাংশ বা এর বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল থাকে তবে সেটি বিয়ার হিসেবে গণ্য হবে। এই জাতীয় পণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্সের কোনও শর্ত ভঙ্গ করলে, লিখিত মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
শিসাবার ও ডোপ টেস্টের মত বিষয়গুলো আইনে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। সব ধরনের মাদককে নতুন আইনে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।