সাজাপ্রাপ্তদের পরানো হলো কয়েদি পোশাক
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের কপি আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার ভোরে দণ্ডপ্রাপ্তদের কয়েদি পোশাক পরানো হয়েছে।
এ সময় তাদের চিন্তিত ও বিমর্ষ অবস্থায় দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২ এর (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলসুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের কপি বুধবার সকালে ঘোষণার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছায়।
পরে বৃহস্পতিবার ভোরে দণ্ডপ্রাপ্তদের কয়েদি পোশাক পরানো হয়। বন্দিদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি রয়েছেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি থাকায় তিনি আগেই কয়েদির পোশাকে ছিলেন।
সিনিয়র জেলসুপার আরও জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ আছেন সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৩ আসামি।
এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ জন ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭ জন আসামি। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের তালিকায় (গ্রেনেড হামলার মালার রায়ে) এবার প্রথম পিন্টুর নাম যোগ হলো।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের সবাইকেই ভোরে কয়েদি পোশাক পরানো হয়েছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় এই কারাগারে মোট ১৭ জন বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৪ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েদি পোশাক পরানো হয়েছে। এ কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।