দিল্লিতে বসছে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব বৈঠক
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠক। ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন নৌ-পরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ। এরই মধ্যে নৌ-পরিবহন সচিবের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়েছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, দিল্লি বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের নৌখাত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটকবাহী ক্রুজ (জাহাজ) চলাচল সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি), নৌপথে পণ্য চলাচল সুবিধার জন্য প্রচলিত প্রটোকল ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডে (পিআইডব্লিউটিটি) প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) স্বাক্ষরিত হয় এবং নৌ-বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান থাকে। ওই প্রটোকলের মেয়াদ ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ উত্তীর্ণ হলে ২০১৫ সালের ৬ জুন পুনরায় পিআইডব্লিউটিটি স্বাক্ষরিত হয়।
আরো উল্লেখ্য করা হয়- ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কোস্টাল শিপিং বিষয়ক চুক্তি, প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি/প্রটোকল/সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষর হয়।
পরবর্তীকালে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল রুটের সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া এবং আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রুট উন্নয়ন, কোস্টাল-প্রটোকল রুটে যাত্রী ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল এবং দু’দেশের মধ্যে নেভিগেশন সহায়ক সহযোগিতা সংক্রান্ত তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
ভারত সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মনোজ কান্তি বড়াল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ এইচ এম আহসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোশারফ হোসেইন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও অপারেশন) মো. শহীদুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মহিদুল ইসলাম, উপসচিব এ টি এম মোনেমুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) রিয়াদ হোসেইন এবং উইন শিপ কোম্পানির স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ বশির আহমেদ।