প্রধানমন্ত্রীর কথা ফেলতে পারেননি ঐক্যফ্রন্টের নেতারা
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা। সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা আপ্যায়নে অংশ নেবেন না আগে থেকে জানালেও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে শেষ পর্যন্ত নৈশভোজে অংশ নেন তারা। সব মিলিয়ে ভোজে ১৮ ধরনের খাবারের ব্যবস্থা ছিল।
নৈশভোজ নিয়ে গেল কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর বুধবার ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জানান তারা খাবেন না।
তবে বৃহস্পতিবার সংলাপের শুরুতেই অতিথিদের সামনে দেয়া হয় কমলা লেবু, আপেল ও তরমুজের শরবত এবং চিপস। এরপর আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে খাবার সরবরাহ চলতে থাকে।
গণভবনের কর্মীদের তথ্য এবং খাবারের একটি তালিকা থেকে দেখা যায়, খাবার তালিকায় ছিল মোরগ পোলাও, সাদা ভাত, বাটার নান, মাটন রেজালা, রুই মাছের দো পেঁয়াজা, চিতল মাছের কোপতা, রান্না করা মুরগির মাংস, গরুর মাংসের কাবাব, সুপ, নুডলস, মিক্সড ভেজিটেবল। ছিল কয়েক ধরনের সালাদ। এছাড়া টক দই, মিষ্টি দই ও চিজ কেক ছিল ডেজার্ট হিসাবে। ছিল কোমল পানীয়, চা ও কফি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে শুরু হওয়া এ সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের ২০ জন নেতা অংশ নেন।
সংলাপে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপের জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয় আওয়ামী লীগকে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে শেষ মুহূর্তে যোগ করা হয় আরও পাঁচজনের নাম।
২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
পরের দিন ২৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংলাপে বসার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান।