শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 8 November, 2018 02:01

সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত

সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত
ফাইল ছবি
ঢাকা অফিস :

অনিবার্য কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ১টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া এই সংলাপে নিজ নিজ জোটের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড.কামাল হোসেন। বুধবারের সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফা আবারো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এর আগে গত ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ হয়।

রোডমার্চ বাতিল করেছে ঐক্যফ্রন্ট: 
ঢাকা থেকে রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে শুক্রবার রাজশাহীতে জনসভা করবে এই জোট। বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান বলেন, বিকেলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৮ নভেম্বর রাজশাহীর উদ্দেশে রোডমার্চ এবং ৯ নভেম্বর সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

গণভবনে সংলাপের পরে বিকালে বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন আমরা বৃহস্পতিবার রোডমার্চ করে রাজশাহী যাব। শুক্রবার সেখানে জনসভা করব। কয়েকঘণ্টা পরেই তারা আবার কর্মসূচি পরিবর্তন করলেন।

বেলা সাড়ে ১১ টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ জন নেতা। সংলাপ শেষে বেলা ৩টায় তিনি বেইলী রোডের বাসায় ফেরেন। এরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এরপর সংলাপের বিষয়ে কথা বলতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা জনগণের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। সংলাপ যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে চেষ্টা করব। সরকার যদি আমাদের দাবি না মেনে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণা করে- তাহলে আমরা আগেই আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করে রেখেছি। আমরা আন্দোলনে আছি’।

তিনি বলেন, আগামীকাল রাজশাহীতে রোডমার্চ হবে। পরদিন সেখানে সমাবেশ হবে। সংলাপ আমাদের আন্দোলনেরই অংশ। যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। সরকার যদি তা না চায়, তার দায়ভার তাদের। আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি।

তফসিলের সঙ্গে আলোচনার কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রয়োজনে তফসিল পেছানো হতে পারে।

তিনি বলেন, অর্থবহ নির্বাচনই আমাদের দাবি। এই দাবি নিয়েই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। এখন এই দাবি যদি সফল না হয়, কোনো সমাধান না আসে তাহলে সেই দায় সরকারেরই।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনা হয়েছে, তবে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বলেছি, তিনি আইনগতভাবেই জামিন পাওয়ার যোগ্য।

প্রথম দফা সংলাপে সন্তুষ্ট হতে পারেননি, এবার সন্তুষ্ট হয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণ আশার আলো দেখলেই সংলাপ সফল হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই দাবি আদায় করা হবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমদফায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে কোনো সমাধান না হওয়ায় বুধবার দ্বিতীয়দফায় সংলাপে বসেন নেতারা। সংলাপে ১৪-দলীয় জোটের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ১১ জন। তারা হলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শ ম রেজাউল করিম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন।

তাদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ, জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এসএম আকরাম এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

উপরে