নয়াপল্টনে ব্যাপক সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনতে আসা নেতা-কর্মীদের চাপে আটকে পড়া রাস্তা স্বাভাবিক করা নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ছিল বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রির তৃতীয় দিন। এদিনও মনোনয়ন ফরম কিনতে আসা নেতা-কর্মীদের চাপে রাজধানীর নয়াপল্টনের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ রাস্তা স্বাভাবিক করতে নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে থাকা বেশ কয়েকেটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুপুরে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পুলিশ রাস্তা থেকে বলেছিল সরে যেতে, যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু তারা সে কথা না শুনে হঠাৎ পুলিশের ওপর হামলা করে।’
ঘটনাস্থলে পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হোসেন জানান, সড়কে নেতা-কর্মীরা বিশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করছিল। পুলিশ তাদের সুশৃঙ্খলভাবে থাকতে অনুরোধ করে। এরপরই তারা হামলা করে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মনোনয়ন ফরম নিতে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর বিনা উসকানিতে পরিকল্পিত হামলা করেছে সরকার। সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘গত তিন ধরে নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসে। এখানে (পল্টনে) স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছিল। শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচন কমিশন পুলিশ দিয়ে এ হামলা চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তিন মামলা, গ্রেফতার ৫০: এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।এসব মামলায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হাসান।
বুধবার রাতে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে।
মামলাগুলোতে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, নয়াপল্টনের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।