শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 20 November, 2018 14:21

বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশি সেই মা

বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশি সেই মা
ঢাকা অফিস :

বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা সোমবার প্রকাশ করেছে বিবিসি। এ তালিকায় ৮১তম অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশি সেই মা সীমা রানি সরকার, যিনি প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে যান।

মায়ের কোলে চড়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা হৃদয় সরকারের ওই দিনের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুতই ভাইরাল হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশের ১৫ থেকে ৯৪ বছর বয়সী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীদের নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় স্থান পাওয়া কয়েকজনের কথা উল্লেখ করা হল।

সীমা রানি সরকার : ছোটবেলা থেকেই হাঁটতে পারেন না হৃদয়। ১৮ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে যান মা সীমা নারি সরকার (৪৪)। তিন-চারতলা সিঁড়িও মাড়িয়ে ছেলেকে পরীক্ষার আসনে বসান তিনি। এই ছবি সাড়া জাগায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মায়ের এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ হয় অনেকে। প্রতিবন্ধী ছেলেকে পড়াশোনা করানোয় নিগৃহের শিকারও হয়েছেন তিনি।

স্বল্প আয়ের পরিবারে প্রতিবন্ধী শিশুকে পড়াতে গিয়ে আর্থিক অনটনেও পড়েছেন। সব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে দিন-রাত শ্রম দিয়েছেন সীমা। শ্রমের যথাযোগ্য মূল্যও তিনি পেয়েছেন। ছেলে কলা অনুষদে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। বিবিসি সীমা রানি সরকারকে ‘ফুল-টাইম মাদার’ অ্যাখ্যা দিয়েছে।

কৃষ্ণা কুমারী : পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম দলিত হিন্দু নারী হিসেবে সিনেট সদস্য নির্বাচিত কৃষ্ণা কুমারী (৩৯)। নির্যাতনের শিকার মানুষের অধিকার রক্ষা, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে তিনি কাজ করেন। তালিকায় কৃষ্ণা ৪৮ নম্বরে রয়েছেন।

নিমকো আলী : ৩৫ বছরের এই নারী সোমালিল্যান্ডের একজন লেখক এবং অ্যাকটিভিস্ট। তিনি নারীদের যৌনাঙ্গ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এ কাজের জন্য তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন। তালিকায় ৫ নম্বরে রয়েছেন তিনি।

বুশরা ইয়াহইয়া আলমুতাওয়াকিল : ৪৯ বছরের এই নারী ইয়েমেনের একজন শিল্পী, ফটোগ্রাফার এবং অ্যাক্টিভিস্ট। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের প্রথম নারী পেশাদার ফটোগ্রাফার। তার তোলা ছবি আন্তর্জাতিক পাবলিকেশনে ছাপানো হয়েছে এবং ব্রিটিশ মিউজিয়ামে স্থান পেয়েছে। তালিকায় তিনি সাত নম্বরে রয়েছেন।

জুলিয়া গিলার্ড : জুলিয়া গিলার্ড অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। জুলিয়া গিলার্ডের বয়স ৫৭। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখন নারী এবং শিশুদের শিক্ষা ও নেতৃত্বের বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। তালিকায় তিনি ৩৬ নম্বরে রয়েছেন।

উমা দেবী বাদি : উমা নেপালের নাগরিক। তিনি দেশটির বাদি সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়কে নেপালে অস্পৃশ্য হিসেবে ধরা হয়। উমা দেবী দেশটির সংসদ সদস্য হয়েছেন। তার সম্প্রদায় নিয়ে মানুষের বিরূপ ধারণা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন তিনি।

চেলসি ক্লিনটন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মেয়ে তিনি। ৩৮ বছরের এই নারী ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। বহু বিষয়ে কাজ করেছেন, যেগুলো পরবর্তী প্রজন্মকে নেতৃত্বে আসার জন্য ক্ষমতা প্রদানে সাহায্য করবে। তালিকায় ২০ নম্বরে রয়েছেন তিনি।

উপরে