শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 3 December, 2018 23:42

স্কুলে বাবাকে অপমান করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

স্কুলে বাবাকে অপমান করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
বাবার সাথে অরিত্রি (ফাইল ছবি)
ঢাকা অফিস :

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল বাবাকে ঢেকে অপমান করায় নবম শ্রেণির অরিত্রি অধিকারী নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

নিহতের বাবার নাম দিলীপ অধিকারী। তার বাসা রাজধানীর শান্তিনগরে। নিহত ছাত্রী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ‘ক’ শাখার ছাত্রী। তার  রোল নম্বর ১২।

পারিবারিক ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, স্কুলে সাথে মোবাইল রাখার কারণে শিক্ষক পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে অরিত্রিকে জানায়। পরে তার বাবা ও মাকে সাথে নিয়ে প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করে অরিত্রি অধিকারী। সেখানে অরিত্রির বাবা-মাকে অপমান করেন প্রিন্সিপালসহ পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য।

এমনকি তারা আগামীকাল মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতেও বলেন। অপমান সইতে না পেরে বাবা দিলীপ অধিকারী কান্না করেন। এ সময় অরিত্রি দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে দিলীপ অধিকারী ও স্ত্রী বাড়ি গিয়ে দেখেন অরিত্রি তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেন তারা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, অরিত্রির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যু কারণ জানা যাবে। 

অরিত্রির মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান প্রিন্সিপাল নাসরিন ফেরদৌস। সেখানে তিনি অরিত্রির স্বজনদের তোপের মুখে পড়েন।

এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমের কাছে ভিকারুননিসার প্রিন্সিপাল নাসরিন ফেরদৌস সার্বিক বিষয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

অরিত্রির গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। সে পরিবারের দুই বোনের মধ্যে বড়।

উপরে