রাজনীতিতে আসার পর মাশরাফির প্রথম সংবাদ সম্মেলন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতিতে আসার কারণ জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নড়াইলের হয়ে কেন নির্বাচন করছেন সেটাও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার মনের সব কথা শোনা হয়নি।
সামনা সামনি আনুষ্ঠানিক কথা হচ্ছিল না, ব্যাট-বলেও মিলছিল না। অথচ তার মনের সব কথা শোনার অপেক্ষায় ছিল পুরো বাংলাদেশ। তাইতো নিজ থেকে সামনে এলেন। সংবাদ সম্মেলন হবে তা আগেই জানিয়ে দিলেন। সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের একটাই উদ্দেশ্য, রাজনীতি আর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের শেষ টানা। তাই-হলো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে সামনে রেখে প্রতিদিনের মতো আজও প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রস্তুতির আগে সংবাদ সম্মেলন হলো প্রায় পনের মিনিটে। সংবাদ সম্মেলনের পুরো অংশ তুলে ধরা হলো:
মনোনয়ন পাওয়ার পর এটাই প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
মাশরাফি: সংবাদ সম্মেলনে আসার কারণটা তো দেখেছেনই, আজকে এখানে আসার কারণ খেলার ভেতর যেন গণমাধ্যমকে এ নিয়ে কথা না বলতে হয়। এজন্য যেটা করার এখনই করে ফেলতে হবে।
নির্বাচনের কারণে খেলায় কোনোরকম প্রভাব পড়বে কি?
মাশরাফি: আমার কাছে একদমই না। আমার মাইন্ড সেটআপে একদমই না, কারণ আমি ওসবে (রাজনীতি) একদমই জড়িত না এখনও। আমার পুরোপুরি মন এখন অনুশীলনে। তবে অবশ্যই ১৪ তারিখের পরে ওইদিকে মনোযোগ দিবো। ১৪ তারিখ পর্যন্ত আমার পুরোপুরি মনোযোগ খেলায় রাখবো।
নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কেন নেয়া, এই সরকার ক্রিকেটের প্রতি কী এমন করেছে যে আপনি নির্বাচনে আসতে অনুপ্রাণিত হলেন?
মাশরাফি: প্রথমত আমি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবো চিন্তা করছিলাম, বিশ্বকাপের পর যদি আমার ক্যারিয়ার শেষ হয় তখন পরবর্তী সাড়ে চার বছরে আমি জানি না আমার কী অবস্থা হবে। আর আমার একটা সুযোগ আসছে যেটা আমি এনজয় করি সবসময় যে, মানুষের পাশে থাকার। তাছাড়া আমি একটা ফাউন্ডেশন (নড়াইল এক্সপ্রেস) করেছি আর আমার একটা সুযোগ আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আমার এলাকার মানুষের জন্য কিছু কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা আমার জন্য অনেক বড় অপরচুনিটি যে, তাদের জন্য কাজ করার। সো এখান থেকেই মনে হয়েছে আগামী আট বা সাড়ে আট মাস পরে হয়তো জাতীয় নির্বাচন আবার হবে না তাই এই সুযোগটা নেয়া।
আপনারাও জানেন যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন আগের থেকে অনেক বেটার টিম এবং সুযোগ-সুবিধাও আগের থেকেও অনেক বেশি আছে। আমি আশা করি বাংলাদেশ টিম আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বিশ্বকাপ খেলে যদি অবসর নেয়া হয় তাহলে দেশের মাটিতে এটাই শেষ সিরিজ। এই সিরিজটা কী তাহলে বিশেষ কিছু?
মাশরাফি: প্রথমত বলেছি, আমার মাইন্ড সেটআপ অবশ্যই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল যেটা হয়তোবা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলার পর মনে হচ্ছিল আমি আর পারবো না কিন্তু আমার পারফরম্যান্স মোটামুটি ভালো হচ্ছিল বলে আমি স্থির করেছি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এরপরও সুযোগ আছে রিভিউ করার, যদি আমি সেই অবস্থায় না থাকি তাহলে কুইট করতে হবে। আর যদি ঠিক থাকি তাহলে অবশ্যই নিজেকে চেষ্টা করবো। আর যদি না থাকি তাহলে এর আগেও যেকোনও কিছু হতে পারে। ২০১১ সালের পর থেকে যদি দেখেন, অলমোস্ট অনেকেই ধরে নিয়েছিল আমার ক্যারিয়ার সেখানেই শেষ। এরপরও সাত বছর ক্যারি করতে পেরেছি। যেখানে আমার পরিবারও ভেবেছিল আমি আর পারবো কিনা কিন্তু যেকোনোভাবে পেরেছি।
আর হ্যা, আমার সব সিরিজেই এমন কিছু হয়। আমার শেষ আর শুরুতে কিছু যায় আসে না। তবে অবশ্যই সিরিজটা জিততে চাই আমরা। আর আমার চোখে আগের আট-দশটা সিরিজ যেভাবে দেখেছি, এটাও সেভাবে দেখছি।
ক্রিকেটের বাইরে নড়াইলে রাজনীতি নিয়ে ভাবনা কী?
মাশরাফি: এখনও ঘোরার সুযোগ পাইনি আমি। এখনও যাওয়ার সুযোগ পাইনি সেখানে। যেটা বললাম যে, এই সিরিজের জন্য আমি যেতে পারিনি সেখানে। সো পুরা সিরিজটা খেলার পরে যাবো। এখন তো ধরেন নড়াইলের মানুষদের ওপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। আমি যাবার পর যে কাজগুলো আছে সেগুলা আমি করবো।
রাজনীতিতে আসার পেছনে ভাবনাগুলো?
মাশরাফি: আমি বললাম আগে যে, আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার, না আমি ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ স্মরণ করবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার মতো করেই আমার স্ট্রাগলিং লাইফে খেলার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় উপভোগ করেছি মানুষের জন্য কাজ করা। আমার একটা ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুযোগটা দিয়েছেন, যে কারণেই বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায় সেই সুযোগটাই আর কী।
১৮ কোটি মানুষের মাশরাফির একটি নির্দিষ্ট দলে যাওয়ায় অন্য দলগুলোর ভিন্ন মতামত আছে। সেটা কিভাবে দেখছেন?
মাশরাফি: আমি আসলে বিশ্বাস করি যে, আপনি কোনও দলকে যদি সাপোর্ট করেন তাহলে সেটা প্রকাশ্যে বলা উচিৎ। আপনি বলবেন না এমন অনেকেই আছে যে, সাপোর্ট করে কিন্তু বলতে পারে না। তাই আমার কাছে মনে হয়, যিনি দলটা করেন তার দলের প্রতি সম্মানটা থাকা উচিৎ। এবং তার মতো করে দেশের জন্য কাজ করবে এই মানসিকতাই থাকা উচিৎ। তাই যারা যেসব মন্তব্য করছেন বিভিন্ন যায়গায় তা তো আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই বা তাদের কিছু বলতে পারবো না। তবে যে যাই বলুন আমার সম্মান সবার প্রতিই আছে।
একটা সিরিজের তিনদিন আগে এমন রাজনৈতিক আলোচনা। আপনি কি মনে করেন আপনি পুরোপুরি ক্রিকেটে আছেন?
মাশরাফি: এ জন্যই তিনদিন আগে আমার এখানে আসা। যাতে করে তিনদিন পরের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নগুলো না আসে। আমি মনে করেছি, আপনাদের যত প্রশ্ন আছে এই ব্যাপারে তার সব যেন এখানেই শেষ হয়ে যায়।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক হিসেবে না ব্যক্তিগতভাবে আসা?
মাশরাফি: আমি গতকাল রাবিদ ভাইয়ের (বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার) সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাই বলবো ব্যক্তিগতভাবেই এখানে আসা। যাতে করে সবাই পরিষ্কার একটা ধারণা পেয়ে যান। যেন খেলার ভেতরে রাজনৈতিক প্রশ্ন না আসে।
নির্বাচিত হয়ে গেলে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর কী হবে। এতদিন ছিলেন গোটা দেশের, তখন কি নির্দিষ্ট একটা দলের?
মাশরাফি: আমি তো আগেই বললাম, আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই আছে। এমনকি মাঝে আট মাস বাকি আছে। এই আট মাসে আমি আগের মতোই খেলে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আর আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ পর্যন্ত এরপর রিভিউ করার সুযোগ থাকবে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। আরেকটা ব্যাপার যেটা, সমর্থন ভাগ হয়ে যাবে কিনা। হ্যা এটা খুবই স্বাভাবিক। আমার যেটা স্বাভাবিক, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আর আমি আগেও বললাম যে, আমি বিশ্ব ক্রিকেটে এমন কোনও সুপারস্টার নই যে, আট মাস পর খেলা ছেড়ে দিলে আমাকে জনে জনে মানুষ স্বরণ করবে।
তরুণ প্রজন্মকে কী স্বপ্ন দেখাতে চাচ্ছেন? এর আগেও অনেক তরুণ রাজনীতিতে এসেছেন। তারাও স্বপ্ন দেখিয়ে নিভে গেছে।
মাশরাফি: দেখেন, আমি এখানে আপনাদের স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। এমন কোনও গতানুগতিক কথাও আমি বলতে চাই না। এমন কোনও কথা আমি বলতে চাই না যেটা আগামীকাল আপনি মিলাতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় যে, সে সুযোগটা যদি আমার আসে। আপনারা এখনই মনে করবেন না যে, আমি এখনই নির্বাচিত হয়ে গেছি। আগে নির্বাচিত হই তখন না হয় আপনারা রিভিউ করবেন আমি কী করেছি বা কী করতে চাই।
নড়াইলের কেমন সমর্থন পাচ্ছেন বা কোনও তিক্ত অভিজ্ঞতা?
মাশরাফি: সাপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। যতটুকু কথা হয়েছে বা বলেছি সবাই সাপোর্ট করছেন। আমি যদিও এখনও যেতে পারিনি তাই সবকিছু বলাটা কঠিন। খেলার পর গেলে তখন বুঝতে পারবো।
নির্বাচন নিয়ে বিসিবি বা সতীর্থদের কোনও মন্তব্য?
মাশরাফি: না এখনও ইন্ডিভিজুয়ালি কারও সঙ্গে কথা হয়নি এ নিয়ে।
দেশে অনেক আন্দোলন হয়েছে। তখন কোনও মন্তব্য না করলেও এখন দেশের জন্য কাজ করতে চাওয়ার কারণ কী?
মাশরাফি: তখন কোটা আন্দোলন নিয়ে যেটা হয়েছে। আমি এত ডিপলি রাজনীতি কখনও করিওনি, জানিও না, বুঝিও না। আমি আগে যেটা পরিষ্কার করে বলেছি, আমার উদ্দেশ্য খুব সিম্পল। যেটা আমি সাধারণ মানুষের জন্য করি, যতটুকুই করা। আর আমাকে যদি ডিপ লেভেলের রাজনীতিবিদ ভাবেন সেটা আমি এখনও হইনি। ওই লেভেলে ভাবলে সেটাও আমার সঙ্গে অবিচার হবে। এখানে আমার অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন।
নড়াইলের জন্য কাজ করতে চান, একজন ক্রিকেটার হিসেবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা কী?
মাশরাফি: দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম যে, আলহামদুলিল্লাহ দেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে। আরও বড় পরিসরে করতে গেলে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও ইমপ্রুভ করা লাগবে আরও অনেক কিছু করা লাগবে। যারা এখন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা করছেন, উনারা খুব ভালো জানেন কী করতে হবে। আমি ওখানে নাই সো আমি এটা এখন পরিষ্কারভাবে বলতে পারবো না। তবে আমি আমার অবস্থান থেকে যতটুকু পারবো ততটুকু সাপোর্ট দিয়ে যাবো। আমি একজন খেলোয়াড়। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু দেয়া যায় দিবো।
ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কাজ করার কোনও ভাবনা আছে কি?
মাশরাফি: প্রথমতো আমি বললাম যে, আমার সামনে কী হবে আমি জানি না। নির্বাচন হলে নির্বাচনে জিততে হবে অনেক ব্যাপার এখনও বাকি আছে। তাই ওই পর্বটা পার না করে কিছু বলা যায় না। তবে হ্যা, ক্রিকেটে যদি আমার কিছু করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই করতে চাই।
দেশের মানুষের উন্নয়ন করতে কেন রাজনীতিতে আসতে হবে?
মাশরাফি: আমি একটা ফাউন্ডেশন করেছি। অনেক কাজও করেছি কিন্তু সবাই জানেনও না কী কী কাজ হয়েছে। এমনকি নড়াইলের মানুষও জানেন না। এখন বড় পরিসরে কাজ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুযোগটা দিয়েছেন সেটাই।
একজন এমপির কাজ কী উন্নয়ন করা নাকি আইন প্রণয়ন করা?
মাশরাফি: আসলে আইন প্রণয়ন করাই তো জানি, আর অবশ্যই যতটুকু দেখেছি ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক সহায়তা আসে যা যাওয়ার পর ঠিকভাবে বণ্টন হয় না। তা ঠিকভাবে বণ্টনেরও একটা ব্যাপার থাকে। আশা করবো এই জিনিসগুলা ঠিকভাবে বণ্টন করার।
যদি হেরে যান নির্বাচনে তাহলে কী হবে?
মাশরাফি: হতে পারে আমি তো বললাম, কালকে আপনার জীবনে কী হবে সেটা আপনিও জানেন না। সো আমার জীবনে কী ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমি কতটা সৎভাবে যাচ্ছি সেখানে। আমি শুধু আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর বাইরে আমি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। আমি এতটুকুই ভাবছি আপাতত। সামনে কী হবে তা নিয়ে ভাবছি না।
পরিবার থেকে কোনও বাধা?
মাশরাফি: খুব স্বাভাবিক ধরেন, পারিবারিকভাবে জানার পড়ে এটা একটা নতুন ব্যাপার তাদের কাছে। তাদেরও একটু সময় লাগবে মানিয়ে নিতে। আমারও লাগবে এটাই স্বাভাবিক কারণ ওইভাবে আমার বাসায় কেউ রাজনীতি করেননি।
তরুণদের আইকন হয়ে তাদের উদ্দেশ্যে আপনার মেসেজটা কী?
মাশরাফি: দেখেন, ২০০১ সালে আমার যখন অভিষেক হয় তখন আমি তরুণদের আইকন ছিলাম না। আমি শুধু আমার কাজটা মন দিয়ে করে গেছি তাই আজকে এই অবস্থানে দাঁড়িয়েছি। তাই আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করবো যদি আমি নির্বাচিত হই। তারপরও দেখা যাক কী হয়।
বিপরীত পক্ষও এলাকার উন্নয়ন করতে চান। আপনি তার থেকে বেটার কিভাবে?
মাশরাফি: আমিতো সেটা বলিনি এখনও। আমি আমার প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। আরেকজনকে ছোট করে আমি বড় হতে যাবো সে সুযোগটা কখনোই নিবো না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। সেখানেও আমার এমন চিন্তাভাবনা থাকাটাই স্বাভাবিক।
মানুষ আপনাকে কেন ভোট দিবেন, তাদের প্রতি আপনার কী বার্তা?
মাশরাফি: দেখেন ভোট তো সবার একটা একটা করে। আমার ভোটও একটা। যিনি ভোটটা দেবেন, তার কাছে যদি আমাকে যোগ্য মনে হয় তাহলে আমাকেই দেবেন ভোট। এখানে আমার যতটুকু করণীয় থাকবে, আমি ততটুকুই করবো। এরপর যদি তিনি আমাকে ভোট না দেন সেটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর নিয়ন্ত্রণ তো আর আমার কাছে নাই।
খেলার আগে প্রস্তুতি নেন, নির্বাচনের আগে কেমন প্রস্তুতি নিলেন?
মাশরাফি: আমি আগেই বলেছি, আমি এখনও খেলায় আছি। নির্বাচন নিয়ে ভাববো খেলার পড়ে। আর আমি এটুকুই বলব, আমি যা করি তা মনোযোগ দিয়ে করি।