শুরু হয়েছে নৌকা-ধানের শীষের স্লোগান
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতীক পেয়েই প্রচারে নেমেছেন। ভোটের লড়াইয়ে শহর থেকে তৃণমূল সর্বত্রই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। মূল সড়ক ও অলিগলিতে উৎসবমুখর পরিবেশের দেশব্যাপী এ প্রচারণায় অংশ নেন মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। শুরু হয়েছে নৌকা-ধানের শীষের স্লোগান।
রাজধানী ঢাকার কয়েকটি আসনেও প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন তারা।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীসহ সারা দেশে চায়ের দোকানের আড্ডার আলোচনাতেও নির্বাচন।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে বিশাল মিছিল হয়েছে। এতে অংশ নেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ হাজারও মানুষ।
নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জের কবিরহাটে প্রচার শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জে প্রতীক পাওয়ার পর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা। সুনামগঞ্জে মিছিল ও শোডাউনের মধ্য দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাটসহ সারা দেশেই প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
সোমবার সকাল থেকে দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক পাওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল ও জনসংযোগে নামেন।
দল মনোনীত প্রার্থীদের প্রতীক জানা থাকায় আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন নেতাকর্মীরা। ফলে তারা দ্রুত দলীয় প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল নিয়ে প্রচার শুরু করেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহীরাও প্রচারে নেমেছেন।
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৭২ এবং ধানের শীষ নিয়ে ২৯৮ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৫৮ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
বাকি ৪২টি আসন মহাজোটের শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে দলটি। অন্যদিকে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ২৪১ প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে।
২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের জন্য ৫৯ আসনে ছাড় দিয়েছে দলটি। এর মধ্যে ২০-দলীয় জোটের শরিকদের ৪০ ও ঐক্যফ্রন্টকে ১৯ আসন দেয়া হয়েছে।
মনোনয়নপত্র দাখিলেও এবার অন্যবারের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ৩০০ আসনের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে তিন হাজার ৬৫। আসনপ্রতি গড় হিসাবে প্রার্থীর সংখ্যা ১০।
তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৭৮৬টি। নির্বাচন কমিশনের আপিলে সেখান থেকে বৈধতা পায় ২৪১ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ৩০০ আসনে এখন প্রার্থী সংখ্যা এক হাজার ৮৪১। এবারের নির্বাচনে ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০।