শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 11 February, 2019 17:55

হজ-ওমরাহ পালনকারীকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে

হজ-ওমরাহ পালনকারীকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক
ঢাকা অফিস :

এবার যারা হজ এবং ওমরাহ পালন করতে যাবেন, তাদেরকে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান, শারীরিকভাবে সক্ষম এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।  এটি ঠিক করবে মেডিক্যাল বোর্ড।  

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় হজ এবং ওমরাহ নীতি ২০১৯’ - এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।  এসময় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইস উল আলম মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন,  ‘হজ এবং ওমরাহ পালনে ২০১৮ সালে যা ছিল, তার বেশির ভাগ বহাল রেখেই কিছু সংশোধন আনা হয়েছে এই নীতিমালায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আগে নিয়ম ছিল সাত রমজানের মধ্যে বাড়ি ভাড়ার কাজ শেষ করতে হবে। তবে এবারের নীতিমালায় রমজানের আগেই বাড়ি ভাড়ার কাজ শেষ করতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৮ বছর বয়সের নিচে  কেউ হজ বা ওমরাহ পালন করতে যেতে চাইলে, তাকে জন্ম সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।  এছাড়া, এবার ৪৪ জন যাত্রীর সঙ্গে একজন করে গাইড থাকবেন।  আগে ছিল ৪৫ জনের সঙ্গে একজন গাইড।  সৌদি আরবের পরিবহন বাসগুলোতে ৪৫ জনের বেশি জায়গা হয় না বিধায় এবার এটি করা হয়েছে।’  

তিনি বলেন, ‘বাড়ি ভাড়াসহ যাবতীয় টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে।  প্রত্যেক হজযাত্রী এবং ওমরাহ পালনকারী সৌদি আরবের যে বাড়িতে থাকবেন, তার পাসপোর্টের শেষের পাতায় সেই বাড়ির ঠিকানাসহ কাগজ লাগিয়ে দেওয়া হবে।’ এছাড়া, বিমান ভাড়া সরাসরি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে বলে জানান তিনি। 

হজে যাবেন এক লাখ ২৭ হাজার জন
এবার সরকারি-বেসরকারিভাবে  এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি হজ করতে সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার, বাকি সাত হাজার ১৯৮ জন যাবে সরকারিভাবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হজ প্যাকেজ ১৪৪০ হিজরি/২০১৯ সাল’ খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন,  ‘এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে হলে প্যাকেজ-১ এর আওতায় টাকা লাগবে মোট চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা।  প্যাকেজ-২ এর আওতায় হজে যেতে চাইলে টাকা লাগবে তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা।  এছাড়া, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন, তাদের সর্বনিম্ন তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা দিতে হবে। ’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,  ‘কাবা শরিফ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে যাদের ভাড়া বাড়িতে রাখা হবে,  তারা প্যাকেজ-১ এর আওতায় থাকবেন।  বাসা থেকে তারা  কাবা শরিফ যাতায়াত করবেন ট্রেনে। প্যাকেজ-২ এর আওতায় যারা থাকবেন, তারা কাবা শরিফ থেকে দুই কিলোমিটার দূরে থাকবেন।  তারা যাতায়াত করবেন বাসে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘দুই প্যাকেজেই বিমান ভাড়া এক লাখ ২৮ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ১০ হাজার ১৯১ টাকা কম।  হজে যেতে বিমান ভাড়া কমলেও বেড়েছে প্যাকেজ মূল্য। ট্রেন ও বাড়ি ভাড়া বাড়ার কারণে প্যাকেজ-১ এ সার্বিক মূল্য বেড়েছে ২০  হাজার ৫৭১ টাকা।  আর প্যাকেজ-২ এ বেড়েছে ১২ হাজার ৬৪১ টাকা। ’

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ পালিত হবে। যারা এ বছর হজে যাবেন, তাদের এমআরপি’র মেয়াদ ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত  থাকতে হবে।  এবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন।  এরমধ্যে বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার জন।  বাকি সাত হাজার ১৯৮ জন যাবে সরকারিভাবে। প্রতি হজ যাত্রীকে ৬৮ রিয়াল টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ জমা রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে দুইবার বা তার বেশি যারা হজ পালন করেছেন, তাদেরকে বাড়তি হিসাবে দুই হাজার ১০০ রিয়াল দিতে হবে।  একটি এজেন্সি সর্বনিম্ন ১৫০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন।  প্রতি ফ্লাইটে তিন জন মোয়াল্লেম থাকবেন।  কোরবানি বাবদ পাঁচ হাজার ৫২৫ সৌদি রিয়াল ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ’

উপরে