জামায়াত থেকে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ
দল বিলুপ্ত এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য জাতির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক।
জামায়াতের আমীর মকবুল আহমদকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভূমিকাকেই সামনে এনেছেন। পদত্যাগপত্রে রাজ্জাক বলেছেন- তিনি দুই দশক ধরে দলের শীর্ষ নেতাদের বোঝাতে চেয়েছেন যে, জামায়াত যেন একাত্তরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছ ক্ষমা চায়। কিন্তু স্বাধীনতার চার দশক পরও জামায়াত সেটি করেনি।
পদত্যাগপত্রে ব্যারিস্টার রাজ্জাক উল্লেখ করেছেন স্বাধীনতায় বিরোধিতার জন্য তিনি জামায়াতকে বিলুপ্ত করে দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন দলীয় ফোরামে। কিন্তু জামায়াত সেটি করেনি।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের এ আইনজীবী।যুক্তরাজ্যের এসেক্সের বারকিং থেকে তিনি চিঠিটি আমিরে জামায়াত বরাবর পাঠিয়েছেন।
পাঠানো চিঠিতে তিনি এও বলেছেন, ওই ইস্যুতে তিনি জামায়াতকে বিলুপ্ত করে দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন দলীয় ফোরামে।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াত নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যখন জোর আলোচনা হচ্ছে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াত যখন নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে রাজনীতি শুরু করার চিন্তা করছে, তখন দলটির এই জ্যেষ্ঠ নেতার পদত্যাগের খবর এলো। ব্যারিস্টার রাজ্জাক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন।