শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 12 March, 2019 02:33

সংসদে জিএম কাদের, ৯০ পরবর্তী সব সংসদই পাতানো

সংসদে জিএম কাদের, ৯০ পরবর্তী সব সংসদই পাতানো
ঢাকা অফিস :

জাতীয় পার্টি (জাপা) সংসদে সম্পূর্ণ মেকি বা কৃত্তিম বিরোধী দল নয় বলে দাবি করেছেন সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, বর্তমান বিরোধী দল কৃত্তিমভাবে তৈরি-এটা কিছুটা হতে পারে, কারণ জাপা সরকারি জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করেছে। তবে সম্পূর্ণ কৃত্তিম বিরোধী দল নয়। 

সোমবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি জাপাকে নিয়ে জনমনে সৃষ্ট প্রশ্ন সম্পর্কে এই জবাব দেন। বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদের অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলের পক্ষে মূল বক্তব্য রাখেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, অনেকে বলেন সবকিছু পাতানো খেলা। জাপা সরকারি জোটে থেকে নির্বাচন করেছে, এজন্য তারা মনে করছেন এখন হয়তো বিরোধী দলে থেকেও জাপা কর্যত সরকারের পক্ষ হয়েই কাজ করবে। বর্তমান যে সংসদীয় ব্যবস্থা এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, তাতে এখানে যারাই বিরোধী দলে থাকুক না কেন ফল কী হবে সবাই জানে। ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো দলের সদস্য সেই দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। এই ব্যবস্থায় সবসময় জিতে সরকারি দল, আর বিরোধী দল সবসময় সংসদে হারে। আমি মনে করি, এটাই আসলে পাতানো খেলা। সেই কারণে আমি বলবো, আসলে ’৯০ এর পর থেকে প্রতিটি সংসদই পাতানো খেলা। আমরা যদি সংখ্যায় আরও বেশি থাকতাম, বেশি করে হইচই করতে পারতাম, দেখতে সংসদকে প্রাণবন্ত মনে হত। কিন্তু বাস্তব অবস্থা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারতাম না।তিনি তার বক্তব্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের আপত্তিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েও পরে সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি।

এরশাদের জন্য দোয়া চাইলেন রওশন
জিএম কাদেরের আগে দেওয়া বক্তব্যে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ অসুস্থ স্বামী ও বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেব অসুস্থ। তবে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি সুস্থ হয়ে তিনি সংসদে আসতে পারবেন। তার জন্য আমি সবার কাছে শুভ কামনা ও দোয়া চাচ্ছি।’

রওশন বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ঐকমত্য প্রয়োজন। ঐকমত্য ছাড়া উন্নয়ন-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। রাষ্ট্রপতিও তার ভাষণে বলেছেন- জাতীয় ঐক্যমত্য ছাড়া শান্তি স্থায়ীরূপ পায় না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে পরিচালনা করতে হলে ঐকমত্যের বিকল্প নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

দশম সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন বলেন, দশম সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আমরা গঠনমূলক ভূমিকা রেখেছি। সবাই আন্তরিকভাবে মিলেমিশে কাজ করেছি। সরকারের প্রতিটি উন্নয়নে আমরা সহযোগিতা করেছি। আমার মনে হয় স্বাধীনতার পর কেনো সংসদ এত সুন্দরভাবে চলেনি। অতীতে আমরা দেখেছি- যখনই সরকার উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়, তখনই বিরোধী দল বাধা দিয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে।

তিনি বলেন, ’৯৬ এর পর থেকেই মূলত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শুরু হয়। এর আগে উন্নয়ন থেমে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী সঠিকভাবে পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এমনভাবে পালন করতে হবে যেন এটা মাইলফলক হয়ে থাকে। রওশন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখা দরকার। ফেসবুক সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখার প্রস্তাব রেখে তিনি বলেন, এটা করলে শিক্ষার্থীরা শান্তিমত ঘুমাতে পারবে, ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারবে। কারণ ফেসবুক অনেক অশান্তি সৃষ্টি করে।

উপরে