তামাক নিয়ন্ত্রণে সড়ক পরিবহনে নিয়মিত অভিযানের ঘোষণা
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে নিয়মিতভাবে সড়ক পরিবহনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মশিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, এর আগে আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল সড়ক পরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইনেজ প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করা হবে।
পাবলিক পরিবহনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষে বিআরটিএ এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যৌথ উদ্যোগে সোমবার বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. সিরাজুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-এর গ্র্যান্ড’স ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞাঁ এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রধান ইকবাল মাসুদ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. মোখলেছুর রহমান।
সারা বিশ্বে সমন্বিতভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষে ২০০৩ সালে এফসিটিসি চুক্তি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ এই চুক্তির স্বাক্ষরকারী দেশ এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করে ও ২০১৩ সালে উক্ত আইনের বিভিন্ন দূর্বল দিক বিবেচনায় নিয়ে তা সংশোধন করে। সংশোধিত আইনে পাবলিক প্লেসে ও পরিবহনে ধূমপানের জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এমনকি পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের মালিক বা ম্যানেজাররা তাদের পাবলিক প্লেস ও পরিবহনকে ধূমপানমুক্ত রাখতে না পারলে তার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানার এবং ধূমপানমুক্ত সাইনেজ না থাকলে এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত জিএটিএস ২০১৭ অনুসারে ২ কোটি ৫০ রাখ বা ৪৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম, তামাকজাত প্যণ্যের ব্যাপক প্রচার, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং সর্বোপরি আইনের সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন তুলনামূলক স্বল্প।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।