সিলেটের চা বাগানের সৌন্দর্যে মুগ্ধ বিদেশী কূটনীকিরা
অমিতা সিনহা, সিলেট থেকে: সিলেটের শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বিদেশী কূটনীতিকরা। শত ব্যস্ততার ভিড়ে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটিয়ে নিজেদেরকে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন কিছুক্ষনের জন্য। বাংলাদেশের ড. একে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রনের ৩৫জন বিদেশি কূটনীতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভুমি সিলেটের শ্রীমঙ্গল এলাকায় যান।
সবুজ শ্যামল উঁচু নিচু পাহাড়ি এলাকা চায়ের দেশকে উপভোগ করতে নানা প্রান্তের মানুষ যেভাবে ছুটে আসে একটি বার চোখ বুলিয়ে নিতে শ্রীমঙ্গলে, ঠিক তেমনি শুক্রবার বাংলাদেশের সপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিদর্শন করতে হাজির হয়েছিলেন কূটনীতিকরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের চা বাগান ঘুরে দেখেন তারা।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পৌঁছালে স্থানীয়দের নানা রঙের ফুলের মালায় বরণ আর মনিপুরি শৈল্পিক নৃত্যে মুগ্ধ হন আগত অতিথিরা। এই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বিভিন্ন চা বাগান পরিদর্শন করেন। ছুটির দিনে ঘুঁরতে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এক অপরূপ সুন্দর একটি দেশ। রাজধানী ঢাকায় বসে দেশের এই সৌন্দর্য অনুমান করা যায় না। পররষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের ৩৫জন রাষ্ট্রদূতদের এই নৈসর্গিক এলাকায় নিয়ে এসেছি উপভোগ করার জন্য। তাঁরাও আমাদের দেশের আকর্ষণীয় ও সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকাগুলো দেখে মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পর্যটনে সমস্যা থাকলে গনমাধ্যমে তুলে ধরুন। সমাধানের ব্যবস্থা অবশ্যই নেব। এসময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ভারত, স্পেন, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরসহ ৩৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আশ্রয় দেয়া ১২লাখ রোহিঙ্গার থাকা- খাওয়ার ব্যবস্থা করা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। আগে অনেক বৈদেশিক সাহায্য আসতো, এখনো সেটা অনেক কমে গেছে। সামনের বৃষ্টি বাদলের মৌসুমে ভূমিধ্বস ও তাদের কিভাবে নিরাপদে রাখা যায় তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে যায় সেজন্য আমরা সব ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা যাতে তাদের এলাকা ছেড়ে না যায় সে ব্যবস্থাও নিচ্ছি। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছাড়াও ৭টি আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।