শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 8 April, 2019 23:04

মিয়ানমারের চক্রান্ত নস্যাতে সেন্টমার্টিনে বিজিবি

মিয়ানমারের চক্রান্ত নস্যাতে সেন্টমার্টিনে বিজিবি
সুজাউদ্দিন রুবেল :

প্রতিবেশী মিয়ানমারের চক্রান্ত নস্যাতের পাশাপাশি নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান জানান দিতে সেন্টমার্টিনে টহল দিতে শুরু করেছে বিজিবি। সেই সঙ্গে ২২ বছর পর স্থায়ী বর্ডার আউট পোস্ট-বিওপি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে।

এর মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্যই সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ১৭ বর্গকিলোমিটারে এই দ্বীপে বসবাস করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আর এখানকার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস মাছ ধরা আর পর্যটন।

১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নিয়োজিত ছিলো এখানে। পরে তা টেকনাফে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপকে মিয়ানমার বেশ কয়েকবার তাদের মানচিত্রে উপস্থাপন করে নিজেদের বলে দাবি করার অপচেষ্টা করে। এরকম বাস্তবতায় এ দ্বীপের সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় ২২ বছর পর রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে ফের পুরোদমে কাজ শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।

টেকনাফস্থ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বহির্দেশের কোনো আক্রমণ যাতে এখানে না আসে। এই দ্বীপকে নিয়ে অন্য কেউ যাতে কোনো চিন্তা না করতে পারে তা বন্ধ করা। আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্য এখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েন ছিল। এরপর সরকারি সিদ্ধান্তে বিজিবির স্থাপনা কোস্টগার্ডকে হস্তান্তর করে চলে আসি। সরকার এখন আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সর্ব দক্ষিণের সীমান্তবর্তী এলাকা সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে বিজিবির দরকার। যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা ও একটা দ্বীপ সেই লক্ষ্যে এটার নিরাপত্তা বাড়ানো, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা, চোরাচালান রোধ, মাদক ও মানবপাচার বন্ধসহ সব বিষয় মাথায় রেখে সরকারি সিদ্ধান্তের সেন্টমার্টিনে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে বিজিবি।
  
সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের দাবি করাকে অযৌক্তিক এবং ভারী অস্ত্রসহ বিজিবি মোতায়েনের সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশ সবসময় চায় তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু মিয়ানমার কিভাবে সেন্টমার্টিনকে তাদের অংশ ভাবে এটা হাস্যকর বিষয়। 

মানবাধিকার কর্মী নুর খান বলেন, ‘সরকার বিজিবি মোতায়েন করেছেন, এটা নিরাপত্তার জন্য জরুরি ছিল। সময়ের প্রয়োজনে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবি মোতায়েন এটি একটি সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত।

আর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গারা মানব পাচারের শিকার হচ্ছে। মাদকের পরিমাণ ওই এলাকায় বেড়ে গেছে। নিরাপত্তাসহ সকল দিক বিবেচনা করেই সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 

এখন কোস্টগার্ডের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সীমান্ত নিরাপত্তায় দ্বীপটিতে দায়িত্ব পালন করবে।

 


নিউ ইয়র্ক মেইল/৮ এপ্রিল ২০১৯/কক্সবাজার, বাংলাদেশ/সুজাউদ্দিন রুবেল/এইচএম

উপরে