আগামী সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইভিএমের পরিকল্পনা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসন অর্থাৎ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দেড় লাখ ইভিএম কেনার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। বিশেষ করে সিটি দ২কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের সবগুলোতেই এ মেশিন ব্যবহার করা হবে। ভৌগোলিক, যাতায়াত ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সুবিধা বিবেচনা করে বাছাইকৃত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
বুধবার কমিশন সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব এসব কথা জানান।
তিনি আরও জানান, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হবে। স্থগিত উপজেলা নির্বাচনগুলোতে আগামী ৫ মে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের ৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় আরপিও বাংলায় অনুবাদ করে আইনে রূপান্তরসহ তিনটি এজেন্ডা ছিল। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত দুটি এজেন্ডার উপর আলোচনা হয়ে তা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জাতীয় নির্বাচনের জন্য নতুন করে আইন করার প্রস্তাব করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
কমিশন সভায় তিনি বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এ অনেক সংশোধন ও পরিবর্তন এসেছে। এখন নতুন আইন তৈরি করতে কমিশন সচিবালয়কে নির্দেশ দেন। তার ওই নির্দেশনার কারণে কমিশন সভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর বাংলায় অনুবাদ বিষয়ে এজেন্ডা থাকলেও তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আগামী সভায় আলোচনা করা হবে। যদিও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ রহিত করে নতুন আইন করার বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিওতে সংশোধনী আনা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সিইসি স্যার একটি নতুন আইন করার কথা বলেছেন। আরপিও বাংলায় তরজমা হবে নাকি জাতীয় নির্বাচনের জন্য নতুন আইন করা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী কমিশন সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
সচিব জানান, আগামী নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।