শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ২০২৪ সালে হতাহত ৪ লাখ ৩০ হাজার রুশ সেনা, দাবি ইউক্রেনের নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 12 April, 2019 23:02

সোজাসাপ্টা কথা বলা বাংলাদেশি গুরুজীর কাছে শিখেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

সোজাসাপ্টা কথা বলা বাংলাদেশি গুরুজীর কাছে শিখেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। ছবি: নিউ ইয়র্ক মেইল
ঢাকা অফিস :

সোজাসাপ্টা কথা বলা বাংলাদেশে নিজের গুরুজীর কাছ থেকে শিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এফবিসিসিআই আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, যদি আমার কথা ভালো না লাগে তবে সেই দোষ আমার নয়। এই দোষটা আমার বাংলাদেশি অধ্যাপক, গুরুজির। কারণ তিনি আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে খাঁটি, আন্তরিক হতে হয়, কীভাবে সোজাসাপ্টা কথা বলতে হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন ডা. লোটে শেরিং। পরে তিনি বাংলাদেশেই সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

ছাত্রজীবনে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের কাছ থেকে শেখা নীতি-আর্দশের কথা উল্লেখ করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সেই নীতি অনুসরণ করেন বলেও জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

দু’দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আহ্বান জানিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, বাণিজ্য বৈষম্য এতো বেশি কেন? শুনেছি বাংলাদেশে ভুটানের রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ ভুটানে রপ্তানি করে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। দু’দেশের মধ্যে মধ্যে ব্যবসা বাড়ানোর বহু উপায়, অনেক সম্ভাবনা আছে।

তার সরকারের উদার বাণিজ্যনীতির কথা তুলে ধরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্থলবেষ্টিত। তবে আমাদের হৃদয় বন্ধ নয়। ব্যবসার জন্য আমাদের দুয়ার উন্মুক্ত। বাংলাদেশিদের যদি ভুটানিদের কাছের মানুষ মনে হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে আসা উচিত।

লোটে শেরিং বলেন, আমরা যদি সত্যিই ঘনিষ্ঠ হই, মনে হয় ব্যবসাটা বাড়ানো উচিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এখন যেটা আছে তা যথেষ্ট নয়।

বক্তব্য শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) একটি যৌথ বিজনেস কাউন্সিল গঠন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ফাব জাম। 

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টানডি দর্জি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত, ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দু’দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন।

বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ এবং ভুটানে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা থ্রোওয়া তেনজিন  পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

উপরে