সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও সাত জন।
রোববার (২ জুন) ভোরে সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ নামক স্থানে বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাত জনের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী। নিহতরা হলেন- দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র আফজাল হোসেন (১৬), একী গ্রামের ফয়জুল মিয়ার পুত্র মিলন (১৫), ইস্তফা মিয়ার পুত্র সাগর মিয়া (১৬), একই উপজেলার গাগলী গ্রামের আলী আকবরের পুত্র লেগুনা চালক মো. নোমান (২২), শাল্লা উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মনীন্দ্র কুমার দাসের পুত্র রিমেশ চন্দ্র দাস (২২), দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের সেচনি গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র ফজলুল করিম (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুটি গ্রামের নারায়ন চন্দ্র সাহার পুত্র শিপন কুমার সাহা (৩৩)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে লিমন পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে দিরাইয়ে এসে যাত্রী নামিয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে আসছিল। বাসটি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ এলাকায় পৌছা মাত্রই দিরাই-মদনপুর পয়েন্টের বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনা সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাস ও লেগুনা যাত্রীরা সড়কের দুই পাশে ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে ছয় জনের মৃত্যু হয় আর গুরুতর আহত হন আরও আট জন। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেকিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসার পথে একজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। আর বাঁকি যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দুর্বাকান্দা ঠাকুর ভোগ গ্রামের ফজল মিয়ার পুত্র রেজাউল করিম (১৬), শাল্লা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের রাধাকৃষ্ণ দাসের পুত্র শংকর দাস (২১), তার স্ত্রী তারামনি দাস (১৮), দিরাই উপজেলার মকসদুপুর গ্রামের মহরম আলীর পুত্র আবুল কাশেম (২৪)। একই উপজেলার ভাটিপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র রাজু মিয়া (২০), রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া গ্রামের ইমান আলীর পুত্র কাজল মিয়া (৩০)। তবে আহত এক জনের নাম পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
এ দুর্ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ড. রফিকুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চয়জনের মৃতদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। আর আহত আট জনকে চিকিৎসাধীনের জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু একজন হাসপাতালে আসার আগেই রাস্তায় মারা যান। পরে গুরুতর আহত পাঁচ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয় । এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, বাস ও লেগুনার সংঘর্ষের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসেরা নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে।