অবশেষে সেই আলোচিত ডিআইজি মিজান গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি: অবশেষে অনেক নাটকীয় ঘটনার পর পুলিশের বহুল আলোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমান আটক হয়েছে। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পরপরই শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন নিতে গেলে আবেদন নামঞ্জুর করে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ আদেশ দেন আদালত।
আদালতে মিজানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
এর আগে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্যগোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে হাজির হন।
২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
গ্রেফতারের পর শাহবাগ থানায় ডিআইজি মিজান
ডিআইজি মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
জামিন শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘ডিআইজি মিজান দুদক সম্পর্কে প্রকাশ্যে যেসব কথাবার্তা বলেছেন তা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এক বিভাগের লোক সরকারি আরেক বিভাগের বিপক্ষে এভাবে সরাসরি বলতে পারে না। তার জামিন হবে না। আমরা তাকে পুলিশে দেব।’ এই বলে ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন নাকচ করেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটের সময় পুলিশি পাহারায় গ্রেফতার ডিআইজি (বরখাস্ত) মিজানকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে জড়ো হন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসানের সঙ্গে কথা হয়নি। কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি শাহবাগ থানা পুলিশ। এছাড়া কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। আইনানুযায়ী গ্রেফতার হওয়া আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে তুলতে হয়। সে হিসেব অনুযায়ী মঙ্গলবার তাকে বিচারিক আদালতে তোলা হতে পারে।