শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 30 July, 2019 21:54

গুজব সৃষ্টিকারীদের খুঁজছে ঢাকার পুলিশ

গুজব সৃষ্টিকারীদের খুঁজছে ঢাকার পুলিশ
ঢাকা অফিস :

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব সৃষ্টিকারিদের খুঁজছে পুলিশ। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে বিভিন্নস্থান থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে জানা গেছে, পদ্মা  সেতুতে গুজব সৃষ্টির পর পুলিশের তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ ফেসবুকের সহায়তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে। তদন্তে পর্যপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ৩৪ টি মামলা হয়েছে। আর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুসহ এই কিছুদিনেই সারাদেশে ৮ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। মামলাগুলো পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয় অতি উৎসাহীরা এসব কাজে জড়িত। তবে তারা ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছে। অনেকেই আবার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে না। এদের মধ্যে একটি অংশ আছে, তারা উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।

পুলিশের কাছে তথ্য আছে, সম্প্রতি পদ্মা সেতুর কাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করা যায় সে বিষয় করণীয় নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে একজন চীনা প্রকৌশলী বলেন, ‘ইউ নিড মোর হেড।’ অর্থ্যাৎ তিনি বলতে চেয়েছিলেন কাজ দ্রুত শেষ করতে হলে আরও শ্রমিক দরকার। কিন্তু এটাকে মাথা লাগবে বলে গুজব তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই থেকে প্রথম পোষ্টটি করা হয়। যিনি করেছেন তিনি সরকার বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিষয় এখনও তদন্ত হচ্ছে। এছাড়া পরবর্তীতে যারা এ পোষ্ট শেয়ার করেছেন তারাও কোন না কোনভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তারা উদ্দেশ্য নিয়েই গুজব ছড়াচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এরা কারা, তাদের আমরা অনেকাংশে সনাক্ত করেছি। বিভিন্ন সময় সহিংস ঘটনাতে কারা ছিল, সেটাও সনাক্ত করছি। তারা সরকারবিরোধী কাজ করছে। এর মধ্যে ঢাকায় একজন প্রভাবশালীর নামও বেরিয়ে আসে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তার নাম বলতে চাচ্ছি না। এছাড়া অন্যান্যদেরও আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮৫ টি ফেসবুক লিংক, ২৫ টি ইউটিউব ১০ টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। এসব সোর্সগুলো থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। এগুলোর ব্যবহারকারীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

উপরে