তিস্তাসহ আটটি নদীর তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদ করবে বাংলাদেশ-ভারত
বাংলাদেশ ও ভারত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিস্তাসহ আটটি নদীর তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদ এবং অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টনের জন্য কাঠামো চুক্তির রূপরেখার খসড়া তৈরি করবে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পানিসম্পদ সচিবের বৈঠকে এসিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সচিব কবির বিন আনোয়ার ও ভারতের পক্ষে উপেন্দ্র প্রাসাদ সিং।
বৈঠকের পর রাতে কবির বলেন, “তিস্তা ও সাতটি নদীর ক্ষেত্রে দুই মাসের মধ্যে আমরা ইতিবাচক একটা কিছু নিয়ে আসতে পারবো।”
তিস্তাসহ অন্য নদীগুলো হচ্ছে— মনু, ধরলা, খোয়াই, গোমতি, মুহুরী, ফেনী ও দুধকুমার।
কবির বলেন, “এই নদীগুলোর বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির খসড়া আছে। তবে তথ্য-উপাত্ত যেহেতু অনেক পুরোনো হয়ে গেছে, এজন্য হালনাগাদ করা দরকার।”
নদী সংক্রান্ত চুক্তি অন্যবারের মতো পিছাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সময়াবদ্ধ এবং ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
চুক্তি একসঙ্গে নাকি আলাদাভাবে হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি এখনও বলার সময় হয়নি। প্রতিটি নদীর ধরণ আলাদা। এ জন্য এটি বলা যাচ্ছে না। তবে কাজটি আমরা শুরু করেছি।
আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরে কোনও চুক্তি হবে কিনা জানতে চাইলে কবির বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না।
এখানে উল্লেখ্য, ২০১১ সালে দুই দেশের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি করার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির জন্য এটি করা সম্ভব হয়নি। তখন কথা ছিল তিস্তা নদীর চুক্তির আদলে অন্য সাতটি নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি হবে।
ভারতের পানি সচিব উপেন্দ্র বলেন, আটটি নদী নিয়ে ভালো অগ্রগতি হয়েছে এবং আমরা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পথে। তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদ করা হবে আগামী দুই মাসের মধ্যে এবং এটি জরুরিভিত্তিতে করবো।
ভারতের পানি সচিব বলেন, যদি তথ্য-উপাত্তের মধ্যে ঘাটতি থাকে তবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন অ্যারেঞ্জমেন্ট করতে পারি এবং এর মধ্যে আরও তথ্য সংগ্রহ করবো।
তিনি বলেন, আমরা দু’দেশের চার জন প্রতিনিধি নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি করেছি। তারা একটি যৌথ স্ট্যাডি কমিটির সদস্য নির্ধারণ করবে এবং এর কাজের পরিধি নির্ধারণ করবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টেকনিক্যাল কমিটি তাদের কাজ সম্পন্ন করবে এবং বিস্তৃত কার্যপরিধিসহ নতুন যৌথ স্ট্যাডি কমিটি গঠন করা হবে। নতুন যৌথ কমিটি ঠিক করবে তারা কতদিন ধরে স্ট্যাডি করবে এবং রিপোর্ট দেবে।