চারদিকে থৈথৈ পানি, মধ্যখানে ঈদগাহ
চলনবিলবেষ্টিত ওই ঈদগাহ মাঠে স্থানীয় ৩টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার ৬’শ মুসল্লি এবার দ্বিতীয়বারের মতো ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন উল্লাপাড়ার বেতকান্দি গ্রামের ইমাম মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন।
এর আগে ২০১৮ সালে অসম্পূর্ণ অবস্থায় সেখানে উৎসাহী ও কৌতুহলী নরসিংহপাড়া, শুকলহাট ও শুকলাই গ্রামের মুসল্লিরা প্রথমবারের মতো ঈদের নামাজ আদায় করেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই জায়গাটিতে ২০১২ সালে দ্বিতল ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন স্থানীয় লেখক মোস্তফা জাহাঙ্গীর। মাত্র ১৩ শতক জায়গার উপর নির্মিত দ্বিতল ঈদগাহ মাঠটিকে দেখতে বর্ষা মৌসুমে দর্শনাথীরা প্রতিদিনই ভিড় জমান। এটিই প্রথম ভাসমান ও নান্দনিক ঈদগাহ মাঠ বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সাধারণত চলনবিলের এই অংশটি বর্ষার সময় পানিতে তলিয়ে যায়। একারণে প্রথমবছর বর্ষা মৌসুমে ঈদুল আজহার সময় পানির ওপর সারিসারি নৌকা বেঁধে নামাজ আদায় করা হয়।
সেসময় নৌকায় নামাজ পড়ার দৃশ্য দেখতে আশপাশের এলাকার অনেকেই এসে ভিড় জমান যা নামাজের সময় মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতো। তাই গ্রামবাসীর সুবিধার্থে এখানে দ্বিতল ঈদগাহ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে ঈদগাহ মাঠের সঙ্গে আরও ৯ শতক জায়গা কেনা হয়। পরবর্তীতে ২২ শতক জমিতে দ্বিতল ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
চলতিবছরের জুন মাসে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠটির কাজ শেষ করা হয়।