একা হয়ে পড়ছেন ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল
কাজী আফিফুজ্জামান (কাজী সোহাগ): শুরুটা হয়েছিলো বেশ চমকপ্রদ। আশা জাগানিয়াও। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন দেশের রাজনীতি টালমাটাল,পথ রুদ্ধ,ঠিক তখনই মুলত আবির্ভাব ঐক্যফ্রন্টের। দেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতির ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। রাজনৈতিক পথের টানেলের শেষ মাথায় ধিকিধিকি আলো হিসেবে ঐক্যফ্রন্ট তাদের ভূমিকা পালন করা শুরু করে। তবে সন্দিহানরা তখন থেকেই নেতিবাচক তীর ছুঁড়তে থাকে ফ্রন্টের দিকে। কেউ বলেন, নির্বাচন বৈতরনী পার করতে বিশেষ এসাইনমেন্ট নিয়ে নেমেছেন ঐক্যফ্রন্টের মূল নেতা ড. কামাল হোসেন। এতে সরকার ও ড. কামাল সফল বলেও দাবি করেন নেতারা।নিন্দুকদের এ তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পাল্টা তীর ছোঁড়েন তিনি। একের পর এক সরকার ও সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে থাকেন। সভা-সমাবেশ ডেকে সরকার বিরোধী প্রচারনা চালান। এতে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপি। দলটির নেতা-কর্মীরাও ধীরে ধীরে ড. কামালের ছায়াতলে আসেন। একাত্মতা ঘোষণা করেন। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সংলাপে অংশ নেন। সরকার বিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলো ভীড় জমান ড. কামালের পাশে। তবে আস্তে আস্তে রাজনীতির অনেক “আপনজনরা” ড. কামালকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোটের ঘোষণা করা হয়। এর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর নেতারা ৭ দফা দাবী এবং ১১ দফা লক্ষ্য তুলে ধরেন। তবে মতপার্থক্য থাকায় শুরুতে বাদ পড়েন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর অন্যতম উদ্যোক্তা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ। থেকে যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি,গণফোরাম,নাগরিক ঐক্য,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি),বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। নির্বাচনের পর পাল্টাতে থাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বন্ধনের রুপ। ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ তুলে সওে যেতে থাকে একেকটি দল। যারা আছেন তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিনিয়ত। সবমিলিয়ে একা হয়ে যাচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। দিন যতই যাচ্ছে দলগুলোও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকার যৌক্তিকতা খুঁজছেন। সঙ্গে বের হওয়ার পথও। সংশ্লিষ্টরা জানান,জাতীয় ইস্যুতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে-অভিমানে জোট ছাড়তে শুরু করেছেন শরিকরা। প্রশ্ন তুলছেন, জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনসহ শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা নিয়েও। জোটের শীর্ষনেতাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না শরিকরা। এ বিশ্বাসহীনতা থেকেই জোট ছাড়ল অন্যতম শরিকদল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। বাকি শরিকরা তাকিয়ে আছে শীর্ষনেতাদের দিকে। শিগগির জোটটি সক্রিয় না হলে নাগরিক ঐক্যসহ অন্য শরিকরা যে কোনো সময় জোট ছাড়তে পারেন। শরিকরা এখন বলছেন, যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল তার কোনোটিই সফল হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৭ দফা দাবি নিয়ে বৃহৎ ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যেই গঠন করা হয়েছিল জোটটি। কিন্তু নির্বাচনের আগে একটি দাবিও আদায় করতে পারেননি তারা। নানা নাটকীয়তা শেষে নির্বাচনে গিয়েও ভরাডুবির কবলে পড়ে। নির্বাচনে ভোট ডাকাতি আর বিপুল কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল বয়কট করার পর কথা ছিল বিজয়ী ৭ জন সংসদে যাবেন না একই সঙ্গে পুনর্র্নিবাচনের দাবিতে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবেন। এতেও ব্যর্থ হয়েছে জোটটি। রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার বিপরীতে গণফোরাম দুটি ও বিএনপির পাঁচটি আসনে জয়লাভ করাকেই তাদের রাজনীতির সফলতা মনে করছেন শীর্ষ নেতারা।
জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজ নিজ দলের সিদ্ধান্তে শপথ নিয়ে সংসদে যান বিজয়ীরা। কিন্তু কোন স্বার্থে সংসদে গেলেন তার ব্যাখ্যাও দেননি শরিকদের। জামায়াত-শপথ ইস্যু নিয়ে নির্বাচনের পর থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। নির্বাচনের পর রাজপথের কঠোর আন্দোলন না দেয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারাও। বার বার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তা পালন না করায় হতাশ সরকার বিরোধীরাও। এসব ইস্যু থেকেই বাড়তে শুরু করে মতবিরোধ। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গণফোরামের বিজয়ী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের শপথ নেয়ার পর প্রকাশ্য চলে আসে মতবিরোধ। সুলতান মনসুর শপথ নেয়ার পর সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন গণফোরামের আরেক বিজয়ী মোকাব্বির আলী খাঁন। দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার কারণে সুলতান মনসুরকে তাৎক্ষণিক দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি মোকাব্বির খানকে। সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান দাবি করেন তারা জোটের প্রধান ও গণফোরাম সভাপতি মোকাব্বির খানের ইঙ্গিতেই শপথ নিয়েছেন। সুলতান মনসুরের মতো মোকাব্বির খানকেও দল থেকে বহিষ্কারের করার দাবি জানাচ্ছিল জোট ও দলের বিরাট অংশ। কিন্তু কামাল হোসেন তা না করেই কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রথম সারিতেই বসান মোকাব্বির খানকে। পরবর্তীতে কমিটি গঠন হলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদও দেন। এ নিয়ে ক্ষোভে-অভিমানে দল ছাড়েন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু। বিজয়ীদের শপথ নেয়া থেকে বিরত রাখা, পুনর্র্নিবাচনের দাবিতে রাজপথের কঠোর আন্দোলন না দেয়া, আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করাতে না পারা এবং নিজ দলের দুই প্রার্থীর শাস্তিতে দ্বৈতনীতি অবলম্বন করায় তার ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেন শরিকরা। প্রশ্ন তোলেন তার ভূমিকার ওপর। এরপর থেকে বাড়তে শুরু করে অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য। স্থবির হয়ে পড়ে জোটের কার্যক্রম। এ অবস্থায় শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে বিএনপির বিজয়ী জাহিদুর রহমান। তার শপথের পর বিএনপি তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কার করে।
নানা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে শপথ নেয়ার শেষ দিন বিএনপি থেকে বিজয়ী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকিরা শপথ নিয়ে সংসদে যান। বিএনপি থেকে দাবি করা হয় তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে সংসদে গিয়েছেন। জোটের সিদ্ধান্ত ছিল বিজয়ী সংসদে যাবেন না। কিন্তু জোটকে না জানিয়ে কোন স্বার্থে বিএনপি সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এবং বিজয়ী সবাই সংসদে গেলেও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল কেন গেলেন না এ প্রশ্ন এখনো অজানা শরিকদের মাঝে। জোটকে জানানো হয়নি এ প্রশ্নের উত্তর। এদিকে ৯ মে জোটের মধ্যে থাকার অভ্যন্তরীণ ‘অসঙ্গতি’ দূর করে অধিকার আদায়ের জন্য ঘুরে দাঁড়াতে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আহ্বান করেন শরিকদল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এক মাসের মধ্যে এসব সুরাহা সমাধানের জন্যও আল্টিমেটাম দেন তিনি। এরপর দীর্ঘ প্রায় ২ মাস পর ১০ জুন ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হলেও এতে উপস্থিত হন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ও শীর্ষনেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। ওইদিন ড. কামাল হোসেন উপস্থিত না থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই স্টিয়ারিং কমিটির সভা মুলতবি করা হয়। এরপর একমাস পেরিয়ে গেলেও মুলতবি সভা আর আয়োজন করা হয়নি। বৈঠকে নিজেদের ভেতরকার মান-অভিমান এবং দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসেনি। সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ ভবিষ্যতে একসঙ্গে পথ চলার কর্মকৌশলও ঠিক করতে পারেনি তারা। সে বৈঠকে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের দেয়া আলটিমেটাম ইস্যুতেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সে বৈঠকে সরকারবিরোধী দলগুলো নিয়ে জোটকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন সরকারবিরোধী দলকে আহ্বান করা হয়। কিন্তু তাদের আহ্বানকে বিবেচনায় নেয়া তো দূরের কথা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ইসলামী ঐক্যজোট।
জাতীয় ইস্যুতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নিজেদের দেয়া আল্টিমেটামের জবাব না পাওয়ার ক্ষোভে-অভিমানে ঐক্যফ্রন্ট ছেড়েছে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জোট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যফ্রন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের সব সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থেকে সম্পূর্ণ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব। একই সঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজনে সব দলের সঙ্গে কাজ করব। অন্যদিকে ফ্রন্টের প্রধান শরিক দল বিএনপির কাছে ঐক্যফ্রন্টও গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে।
ভোটের পর ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির একাধিক বৈঠক হলেও তাতে যোগ দেননি বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা। বরং নেতাদের বড় একটি অংশ ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দেয়ার কথাও বলেন। দলের সিনিয়র পর্যায়ের নেতারা এমনও বলেন, তারা নির্বাচনে গেছেন বেগম খালেদা জিয়ার ‘মুক্তি’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে। কিন্তু আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে শুধু নির্বাচনেই ঐক্যফ্রন্ট ব্যস্ত থাকে। এ জন্য ড. কামাল হোসেনকে দায়ী করছেন বিএনপি নেতাদের একটি বড় অংশ। তারা এও বলছেন, সরকারের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ড. কামাল ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন। এতে সরকার ও ড. কামাল সফল বলেও দাবি করেন নেতারা। ভোটের আগে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে নিয়মিত অংশ নিতেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ঐক্যফ্রন্টের মধ্যম পর্যায়ের নেতাদের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও আবদুস সালাম। কিন্তু ভোটের পর বিএনপির দুই কমিটির কোনো নেতাই ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে অংশ নেননি।
ঐক্যফ্রন্টের মহানগর পর্যায়ের বৈঠকে আবদুস সালাম মাঝে-মধ্যে অংশ নিলেও বর্তমানে তিনি কারাবন্দী। এরপর বিএনপি থেকে স্টিয়ারিং কমিটিতে দুজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। তারা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আবদুল মঈন খান। মাঝে-মধ্যে ড. মইন খানকে স্টিয়ারিং কমিটির মিটিংয়ে দেখা গেলেও যান না গয়েশ্বর রায়। এর আগেও নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনিিতর মাঠে সৃষ্টি হয়েছিলো আরেক ঐক্যফ্রন্ট।
২২ জানুয়ারি ২০০৭ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই বছরের আগস্টে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন একটি জোট গঠিত হয়েছিলো বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রধান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বে। ওই সময়ে তার সাথে জোটে যুক্ত হয়েছিলেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যমঞ্চ, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী’র তরিকত ফেডারেশন এবং একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা। আগস্টে ফ্রন্ট করলেও ডিসেম্বরে এ ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যায় তরিকত ফেডারেশন। এর কিছুদিন পর বেরিয়ে যান ড. কামাল হোসেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বি চৌধুরী আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠলেও জোটে স্থান হয়নি তার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও দীর্ঘ দিন পর্দার অন্তরালেই ছিলেন তিনি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি থুব কমই হয়। তবে রাজনীতির ইতিহাস সব সময় ভিন্ন কথা বলে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে এবারও ইতিহাস একই হয় কি না তা দেখার বিষয়। অন্যদিকে একা হতে যাওয়া ড. কামাল হোসেনের শেষ গন্তব্য কোথায় হয় সেটাও এখন অপেক্ষার বিষয়। তবে এ অপেক্ষা আর কতদিনের তা কেবল রাজনীতির পথই বলে দেবে।