শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 29 September, 2019 19:25

শিক্ষার্থীদের সাথে মিড-ডে মিল খেলেন মন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের সাথে মিড-ডে মিল খেলেন মন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সিলেট :

সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষের বেঞ্চে বসেই মিড-ডে মিলের খাবার খেলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার সিলেটের ওই স্কুলে মিড-ডে মিলের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের অনুরোধ করেন, একসঙ্গে খেতে হবে। তারাও বসে গেলেন শিক্ষার্থীদের কাতারে। 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসে মন্ত্রী-উপমন্ত্রী যেন ফিরে গিয়েছিলেন তাদের স্কুলজীবনে! বিদ্যালয়ের সাদামাটা খাবার তাদের কতটুকু তৃপ্ত করতে পেরেছে, তা হয়তো জানা নেই। তবে শিক্ষার্থীরা যে তৃপ্ত হয়েছেন, তা প্রস্ফুটিত ছিল তাদের চোখে-মুখে। 

তাই তো প্রিয় মেহমানদের যত্ন-আত্তি করতে ছাত্রীদের কেউ এসেছিলেন পানি নিয়ে। অনেকেই ছিলেন গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে। এ সময় তাদের চোখে-মুখে ছিলো আনন্দের ঝিলিক। 

ছাত্রীরা মন্ত্রী-উপমন্ত্রীকে পানি কিংবা গ্লাস এগিয়ে দিলে তারা তাদের বারণ করেন।  

খাবার শেষে বের হওয়ার সময় মমতাময়ী শিক্ষামন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ছাত্রীরা। ডা. দীপু মনিও তাদের অনেকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন আশীর্বাদ করেন, ‘তোমরা জীবনে অনেক বড় হও’। 

এর আগে মন্ত্রী ডা. দিপু মনি সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মিড ডে মিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডা. দিপু মনি বলেছেন,  কোচিং বাণিজ্য এমন একটি বিষয়, এটি সুইচ টিপলেই চালু আর সুইচ টিপলেই বন্ধ করা যায় না। এটি বন্ধের সরকারের যেমন সদিচ্ছা আছে, তেমনি আমাদের সকলের সদিচ্ছা থাকতে হবে। 

মন্ত্রী বলেন, সব কোচিং বন্ধ করে দেওয়ার বিষয় নয় । শিশুদের কোচিং প্রয়োজন আছে। অনেক শিক্ষার্থীদের দূর্বলতা আছে, তাদের কোচিং প্রয়োজন আছে ।  সারা বিশ্বে কোচিং হয় । কিন্তু যেখানে কোন শিক্ষক নিজ বিদ্যাপীঠে শিক্ষাদান না করে তার নিজের বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করেন তার কাছে অর্থের বিনিময়ে পড়তে, সেই সব অন্যায় ও বাণিজ্যের অংশটুকু বন্ধ করতে হলে সবার অংশ গ্রহন অবশ্যই প্রয়োজন । 

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে সমস্যা আছে, সেগুলো শ্রীঘ্রই নিরসন করতে পারবো । এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোন সেশন জট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন সঠিকভাবে চলছে । কোথাও কোথাও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ইস্যুতে আন্দোলন হচ্ছে কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে । যখন যেখানে যে সমস্যা আসছে, আমরা তখনই দ্রুততার সঙ্গে সেগুলো মোকাবেলা করছি আর সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা প্রক্রিয়াধীনে আছে ।  

উদ্বোধনী শেষে বিদ্যাপীঠে আনন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীদের সাথে খাবার পরিবেশন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ।  

এর আগে বেলা ১২টার দিকে  সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছেই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে হযরত শাহ জালাল(রহ.) ও হযরত শাহ পরান(রহ.) মাজার জিয়ারত করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি । 

এদিকে উপমন্ত্রী নওফেল তার ফেসবুক পেজের টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট অঞ্চলের ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করার পরপরই ২০টাকার বিনিময়ে ‘মিড-ডে মিল’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করি।’

ছাত্রীদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসে লাঞ্চ করেন শিক্ষামন্ত্রী-উপমন্ত্রী। উদ্বোধন হওয়া ১৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সিলেটে ২, মৌলভীবাজারে ৩, হবিগঞ্জে ৪ এবং সুনামগঞ্জের ৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সিলেট অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৬২২টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৬২টি, সুনামগঞ্জে ৬৮টি, মৌলভীবাজার জেলায় ১১৬টি এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে উপকৃত হচ্ছে ২ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী।

উপরে