রংপুর-৩: বাবার আসনে ছেলের জয়
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের আসন রংপুর-৩ এ উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তার ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ।
শনিবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যার পর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহতাব উদ্দিন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট। মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল শাহরিয়ার ওরফে আসিফ (আসিফ শাহরিয়ার) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮৪ ভোট, তার অবস্থান তৃতীয়। বাকি তিনজনের মধ্যে গণফ্রন্টের ফোরামের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পেয়েছেন ১৬৬২ ভোট, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল পেয়েছেন ৯২৪ ভোট ও এনপিপি’র শফিউল আলম পেয়েছেন ৬১১ ভোট।
প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটারের এই আসনে পুরো ভোটগ্রহণ হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম); যাতে ভোট গণনার পর ফল ঘোষণা দ্রুত সম্ভব হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহতাব।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, খেলাফত মজলিস, গণফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট ছয়জন ছিলো ভোটের লড়াইয়ে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছয় প্রার্থী হলেন- এরশাদের ছেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটর গাড়ি), বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ), এনপিপির শফিউল আলম (আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) এবং গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লা বায়েজীদ (মাছ)।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ। তবে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান বলছেন, আগের রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তাদের নেতাকর্মীরা ভোট দিতে আসতে পারেননি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো নির্বাচনী এলাকায় ১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিলো। সেই সাথে মাঠে ছিলো র্যাবের ২০ ইউনিট ও তিন হাজার পুলিশ-আনসার সদস্য।