‘ক্যাসিনো’ সম্রাট গ্রেপ্তার
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে আলোচিত ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব জানায়, রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা থেকে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় সম্রাটের এক সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপারিন্টেনডেন্ট মিজানুর রহমান বলেন, র্যাবের একটি দল ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রথমে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। পরে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। প্রভাবশালীদের সঙ্গে রাতারাতি সখ্যতা গড়ে ওঠে। প্রভাব খাটিয়ে শুরু করেন ক্যাসিনো ব্যবসা। এভাবেই ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বনে যান ক্যাসিনো সম্রাট।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবনগর গ্রামে সম্রাটের জন্ম।
১৯৯০ সালে রাজনীতি শুরু করেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রমনা অঞ্চলে সংগঠকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তখন সম্রাটের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
১৯৯৬ থেকে ২০০১, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুবলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠেন তিনি।
১/১১ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় সম্রাট যুবলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাধর বনে যান সম্রাট।
র্যাব বলছে, ক্যাসিনো চালানো, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে।
সম্রাটের ইশারায় ঢাকার বেশ কয়েকটি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চলে। সেখান থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করেন তার সহযোগীরা। সম্রাট একজন পেশাদার জুয়াড়িও। এ কারণে সিঙ্গাপুরে যাতায়াত আছে তার। মাসের এক-তৃতীয়াংশ সময় জুয়া খেলতে সিঙ্গাপুরে কাটান তিনি। সিঙ্গাপুরের মারিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনোতে সম্রাট একজন ভিআইপি জুয়াড়ি বলে জানা গেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে সম্রাট আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে সীমান্ত পার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।