দূর্গার মহিষাসুর বধ দেখতে দর্শনার্থীর ভিড়
“হে মহিষাসুর, যদি সাহস থাকে তবে সম্মুখে এসে যুদ্ধ কর, নয়তো নারীর পদতলে বশ্যতা স্বীকার কর”, শব্দের সাথে সাথে দেবী দূর্গা ধীরে ধীরে স্টেজে এগিয়ে আসছিলো৷ তার দশ হাতে দশটি অস্ত্র৷ সামনেই দাঁড়িয়ে খড়গ হাতে মহিষাসুর৷ হঠাৎ বজ্রের ধমধম আওয়াজ, আলোকপ্রক্ষেপন এবং মহিষাসুরের সাথে জীবন্ত এক যুদ্ধের চিত্র ফুটে উঠলো স্টেজে৷ ছিন্নভিন্ন হলো মহিষাসুরের মাথা৷ এ যেনো জীবন্ত রণদূর্গা৷
বাগেরহাটের জাড়িয়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে একদম ভিন্ন মাত্রায় আয়োজন করা হয়েছে এই ডিজিটাল দূর্গা প্রতিমার৷ অনেকটা পুতুল নাচের আদলে তৈরী একটি ডিজিটাল শো এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবী দূর্গার অসুর সংহারের চিত্রসহ নানা ধর্মীয় কাহিনীকে৷
একেবারে ভিন্ন মাত্রার স্বাদ পেতে সন্ধ্যার পর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে এই মন্ডপে৷ দেবী দূর্গার মহিষাসুর বধসহ পার্বতীর শিবভক্তি, কর্নের পুত্র বলিদান, গনেশের দুধ খাওয়া সহ নানা বিষয় পুতুল নাচের আদলে ডিজিটাল প্রতীমায় চিত্রায়িত করা হচ্ছে৷
বাগেরহাটের কাটাখালী বাস স্ট্যাড থেকে কাছেই এই দূর্গা মন্ডপ৷ বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ডিজিটাল প্রতিমার কারনে পূজার সময় এখানে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে থাকে৷
রামপাল থেকে পূজা দেখতে আসা সুব্রত ঘোষ বলেন, ছোট পরিসরে এই পূজায় ডিজিটাল শো একটি ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে ৷ আমি আগে কোথাও এ ধরনের প্রতিমা দেখিনি৷ এই অভিনবত্বের কথা জেনেই আমি এই মন্ডপ ঘুরতে এসেছি৷
যশোর থেকে পূজায় ঘুরতে এসে পলাশ মন্ডল বলেন, আমি অনেক পূজা মন্ডপে পুজায় ঘুরতে আসি৷ তবে এই ডিজিটাল প্রতীমার কারনে এই মন্ডপটি আমার কাছে বেশ আকর্ষনীয় মনে হয়েছে৷
পূজামন্ডপ কমিটির বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই পূজাতে তারা এই ডিজিটাল শো এর আয়োজন করে থাকে৷ সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত এটি পুনরাবৃত্তি করে দেখানো হয়৷
নিউইয়র্ক মেইল/বাগেরহাট/৭ অক্টোবর ২০১৯/অমিত পাল/এইচএম