আইনের বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না: ইলিয়াস কাঞ্চন
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, আইনের বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না। মানুষকে জিম্মি করে, সরকারকে বিব্রত করে যদি কেউ এই আইন বাস্তবায়ন ঠেকানোর চেষ্টা করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই-এর (নিসচা) ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি একথাগুলো বলেন।
নিসচা’র আন্দোলনের চেয়ারম্যান নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক পরিবহন আইন হোঁচট খেয়েছে। আমি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলি না। আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারাই অনিয়ম করেন, তাদের বিপক্ষে কথা বলি। কোন চালক যদি মনে করেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি, এটা দুঃখজনক। আপনারা শুরু থেকেই নতুন সড়ক আইনের প্রতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরিবহন সেক্টরের কিছু মানুষের নৈরাজ্যের কারণে আপনাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আমি মনে করি এই ভোগান্তি সাময়িক।
তিনি বলেন, দীর্ঘ স্থায়ী সমাধানের জন্য আপনাদের এরকম সাময়িক ভোগান্তি পোঁহাতে হতে পারে। আপনারা ধৈর্য হারাবেন না।
নিসচা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি এম. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাদী পাভেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন - সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, সিলেট চেম্বারের সভাপতি এটিএম শোয়েব, পরিচালক নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
এ সময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ - কমিশনার ফয়সল মাহমুদকে সড়ক বাস্তবায়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় নিসচার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্ধোধন করেন ফানুস উড়িয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, সরকার সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে বদ্ধপরিকর। জনগনের নিরাপত্তায় সরকার কারো সঙ্গে আপোষ করবে না। কিছু মানুষের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা রয়েছে। এটা খুবই খারাপ কাজ। নতুন সড়ক আইন মেনে চলতে পরিবহন শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।
শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও নিসচা’র আন্দোলনের চেয়ারম্যান নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার নেতৃবৃন্দরা। শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার থেকে প্রদক্ষিণ করে সিলেট জেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।