বগুড়ায় ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষ, এএসপিসহ আহত ১১
বগুড়ায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১১ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে এক এএসপিসহ তাদের পাঁচ সদস্য রয়েছে।
ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল করার জন্য বুধবার সকাল থেকে শহরের খোকন পার্কে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ে হচ্ছিলেন। দুপুর ১২টায় পুলিশ বাধা দিলে সেখানে উপস্থিত ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল পারভেজ, সিফাত ও মামুন। পারভেজকে বগুড়া পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বদিউজ্জামান বলেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগ দেয়ার জন্য নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খোনপার্কে অবস্থান নেয় এবং সেখানে জুতাপায়ে শহীদ মিনারে উঠে লাফালাফি করে। এমন দৃশ্য দেখে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী তাদের বাধা দিলে নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা করে । এতে তিনিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের জন্য শহরের টিটু মিলনায়তন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়। প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সেখানে অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দেয়।
নেতাকর্মীদের কেউ শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠেছিল বলে পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়- পুলিশের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কেউ এমন কাজ করতে পারে না। যদি কেউ জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে থাকে, তাহলে বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানাতে পারতো, আমি ব্যবস্থা নিতাম।’’
তিনি বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারের উপর দিয়ে দেয়াল টপকে পার্ক ছেড়েছে। এ সময় ২০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এ সংঘর্ষে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান বগুড়া সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’’