সিলেটে বিপিএল ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে
শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। এবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ছয়টি ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে শুরু হয়েছে সিলেটের তিনটি পর্বের মধ্যে প্রথম পর্বের রংপুর রেঞ্জার্সের বনাম রাজশাহী রয়্যালস ম্যাচ আর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট থান্ডার বনাম কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
দুই ম্যাচের চারটি দলের মধ্যে ছিলো বেশ আত্মবিশ্বাস। ঠিক এমনি আত্মবিশ্বাস নৈপুণ্য ভরপুর খেলা দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের ম্যাচগুলোতে চমক প্রদর্শন করবে খুলনা টাইগার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন, সিলেট থান্ডার বনাম রংপুর রেঞ্জার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম খুলনা টাইগার্স ও সিলেট থান্ডার বনাম রাজশাহী রয়্যালস। অথচ এসব আন্তর্জাতিক আসর বিপিএলের জন্য সিলেটে ক্রীড়াপ্রেমীরা যেভাবে হুমড়ি খেয়ে বসেছিল টিকিট কাউন্টারে একটি টিকেটের জন্য।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো প্রতিটি পর্বের আসরগুলো। আজ সেই ক্রীড়াপ্রেমীদের নেই কোন উল্লাস, নেই কোন সাড়ি বদ্ধ দীর্ঘ লাইন। অথচ এই ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিটের বুথগুলো খোলা ছিলো।
আজও প্রথম পর্বের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে মাইকিং যোগে জানান দিয়েছিলো সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে বলে। তবুও সাড়া দেয়নি ক্রিকেট প্রেমী দর্শকরা। সব বুথগুলো ছিল ফাঁকা।
অথচ কাঙ্খিত এ রকম বড় বড় আসরের ম্যাচগুলো টিকিট এর জন্য বিগত ম্যাচগুলোতে কতই না অভিযোগ ছিলো। কখন বলা হয়েছিলো টিকিট নিয়ে রমরমা বাণিজ্য চলছে আর কেউ বা বলেছিলো আধিপত্য ভর করেছে ক্রিকেটের টিকিটেও।
কারন হিসেবে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু বিপিএল ম্যাচের আসরগুলোতে এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের জন্য সৌজন্য কোন টিকিট সুবিধা থাকছে না। যার দরুণ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের নেই কোন ভীড়। নেই কোন সৌজন্য টিকিটের ব্যবস্থা। কিন্তু এই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা গেল আসরগুলোতে সব ধরনের সুবিধা ভোগ করেছিল। দর্শকও ছিলো চোখে পরার মতো। বঙ্গবন্ধু বিপিএল আসরের কোন প্রচার প্রচারণায় কোন ঘাটতি ছিলনা, ছিলনা খবরের কাগজেও বিজ্ঞাপনের ঘাটতিও।
কিন্তু কেন ক্রীড়াপ্রেমীরা ভীড় করছে না খেলা উপভোগ করার জন্য তা আমি বুঝতে পারছিনা বলে মন্তব্য করেন সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও বিপিএলের সিলেট পর্বের মিডিয়া ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশী। তিনি বলেন, শুধু সিলেটে নয়।
এ রকম ঢাকা-চট্টগ্রামে ম্যাচের আসরেও দর্শকের উপস্থিতি খুবই সীমিত ছিলো। সম্ভবত বিপিএলে বিদেশী খেলোয়াড়ের অংশগ্রহন কম থাকায় এমনিও হতে পারে। এছাড়া শীতে তীব্রতার জন্য দর্শকের উপস্থিতি কম হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে খুলনা টাইগার্স। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা প্লাটুন।৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রাজশাহী রয়্যালস। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রংপুর রেঞ্জার্স এবং ৮ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম অবস্থানে আছে সিলেট থান্ডার।