সম্মাননা পাগড়ি পাচ্ছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার দু'হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
উম্মুল মাদারিস খ্যাত উপ-মহাদেশের প্রাচীন ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিআতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দী সম্মেলন (সমাবর্তন) শুরু হচ্ছে আজ।
শুক্রবার দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল ও শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দেশের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতার মধ্যে বিরাজ করছে খুশির আমেজ।
এছাড়া ওইদিন এশারের নামাজরে পর বিগত ২০১৯ সালে দাওরায়ে হাদীস সমাপনকারী দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে দস্তারে ফযীলত তথা সম্মাননা পাগড়ি প্রদান করা হবে।
মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জামিয়া জুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও সাজসাজ রব। বিশাল এ আয়োজনের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে প্রায় শেষের দিকে। ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার মুসলিম তৌহিদি জনতা সমবেত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মাদ্রাসার এক বিশাল আঙ্গিনা। দিনদিন মাহফিলে শ্রোতাদের সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে বাড়ানো হয়েছে আঙ্গিনার আয়তনও।
মাদ্রাসা ক্যাম্পাস, মসজিদ ও শ্রেণি কক্ষগুলোতেও আগত মুসল্লির উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত মেহমানদেরকে সাদরে বরণ করার নিমিত্তে সার্বিকভাবে উপযোগি করা হয়েছে মাদ্রাসার পরিবেশ। মাদ্রাসার ভেতর বাহির সর্বাস্থানে সাজানো-গোছানের অনুপম ছোঁয়া লক্ষ্য করা গেছে।
মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দী সম্মেলন সফল করতে নির্মিত্তে দিবারাত্রি নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জামিয়ার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এমনটা জানান হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী।
তিনি আরও বলেন, মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন সফল করতে স্থানীয়রাও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। দিনব্যাপী মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন দেশের সুযোগ্য ও সুবিখ্যাত উলামায়ে কেরাম। ওইদিন বাদ এশা বিগত বছরের দাওরায়ে হাদীস ফারেগীন শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় ২ হাজার ১শত ৯৮ জন শিক্ষার্থীকে সম্মানসূচক পাগড়ি সনদপত্র প্রদান করা হবে।
বার্ষিক মাহফিল ও শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দী সম্মেলনে দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ হেদায়েতি বক্তব্য রাখবেন মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বাদ জুমা বয়ান এবং মাহফিল শেষে তিনি আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন। শুক্রবার দিবাগত রাত এশার নামায পর্যন্ত চলবে আলোচনা ও ওয়াজ-নসীহত পর্ব।
মাহফিলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফিজ সায়্যিদ আরশাদ মাদানীর ছেলে আল্লামা আজহার মাদানী মাহফিলে অংশগ্রহন করবেন এবং মাদরাসার বড় মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করবেন।
মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে শরীক হওয়ার জন্য দেশের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলিম তৌহিদি জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।