বসন্তের আগমনে দোদুল্যমান সুন্দরী শ্রীভূমি
নিত্যের তালে তালে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে দোদুল্যমান সুন্দরী শ্রীভূমি। তাই তো ওরা রংবেরঙের সুভাসিত ফুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে ঋতুরাজ বসন্তকে বাধিয়ে রেখেছে শ্রীভূমির অঙ্গে।
আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এই দিনে আরও মাধূর্য বাড়িয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত। পহেলা বসন্ত আর বিশ্বভালোবাসা দিবসকে ঘিরে সর্বস্তরের মানুষ সেজে ছিলো লাল-নীল- হলুদ-বেগুণির ফুলের আবরণে। সুন্দরীর মাথার কেশ থেকে শুরু করে বাদ যায়নি পোশাকের আভরণ। ফাগুন মাখা সুন্দরী শ্রীভূমির এমনি রূপ সবার নজর কেড়েছিল। তাই তো ওরা দু’চোখ মেলে স্বাদ নিয়েছিল সুন্দরী শ্রীভূমির।
প্রকৃতির এই মিলন মেলার দিনে ফাগুনের পরশে শ্রীভূমি শ্রীহট্টে বসন্তের বন্দনায় নাচ,গান, নৃত্য, কবিতা আবৃতি কিংবা রং-তুলির চিত্র প্রতিযোগীতার মেতে উঠেছিল। এতে যোগ দিতে বাদ যায়নি নানা শ্রেনি পেশার মানুষেরা। কচি কচি শিশুদের নিত্য-গান-আবৃতি উপস্থিতি সিলেটবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। অবশ্য যারা এই দিনটিকে উপভোগ করেছিল তারাও ফাগুনের রঙে সেজেছিল।
শিশু, তরুণ-তরুণী কিংবা মধ্য বয়সের নারী-পুরুষেরা নানা রঙের ফুল আর রঙিন পোশাকের আভরণে সবার নজর কেড়েছিল। পহেলা বসন্তে ছোট শিশু থেকে শুরু করে তরুণীরা বাসন্তি শাড়ি পড়ে কপালে টিপ, হাতে চুড়ি আর মাথায় সুভাসিত ফুল গুঁজে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিল। এ সময় তরুণেরা পড়েছিলো পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি।
এবার প্রথমবার বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ঋতুরাজ বসন্তের আগমণ ঘটেছে। তাই এই দিনকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করেছিল প্রেমিক- প্রেমিকারা। সিলেটে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট-বড় সংস্কৃতি নতুন মাত্রায় পহেলা বসন্তকে বরন করেছিল। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমী, শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ, এমসি কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), সরকারি মহিলা কলেজসহ আরও বেশি কিছু সংগঠন।
সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমী পহেলা বসন্তের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের মঞ্চে উদ্বোধন করেন সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন এসএমপি সিলেটের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, নাট্যব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ ও মদন মোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ প্রমুখ।