ঘরে থাকার আশ্বাস দিলেন কামরান
সুদূর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেশের মাটিতে এসে কোয়ারেন্টিনে না থেকে একই কান্ড ঘটলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সর্তকর্তায় সরকারি নির্দেশনা দেওয়া আছে দেশে। যারা দেশের বাইরে থেকে প্রবাস সফর করে আসবেন তাদের অবশ্যই ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু তিনি এসব নির্দেশনাবলি না মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিববর্ষের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। করোনার আতঙ্কে আছে পুরো জাতি।
একজন সচেতন জনপ্রতিনিধি দেশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে করোনার সর্তকর্তা না মেনে কিভাবে ঘুরে বেড়ালেন তিনি। এমনি প্রশ্নবিদ্ধ আর করোনার আতঙ্কে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে ঘায়েল করেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আমি আর ঘর থেকে বের হব না। লন্ডন থেকে গত ১৪ মার্চ সিলেট বিমানবন্দরে আসি। ওই সময় বিমানে আমাকে একটি হলুদ কার্ড দেয় স্বাস্থ্য তথ্যের জন্য। সেটি আমি পূরণ করি। এরপর সিলেট বিমানবন্দরেও আমাকে চেকআপ করা হয়। তখন তারা আমাদের বলেনি যে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে বিদেশ থেকে আসলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে। এমনকি এ বিষয়ে আমি নিজেও জানি না। না জানার কারণেই আমি দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেই। এখন আমি ঘরে আছি। কোনও অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।
তিনি বলেন, যেহেতু বিদেশ ফেরতদের ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে, তাই এটা মেনে চলবো।
জানা যায়, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান যুক্তরাজ্য সফর শেষে ১৫ মার্চ দেশে ফিরেন। এরপর ১৭মার্চ বদর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। ১৮মার্চ সিলেটের আওয়ামী লীগের আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। আর এখন এই জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ অবস্থান করছেন সিলেট নগরীর নিজ বাসায়।
এদিকে সারা বিশ্বের ন্যায় দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সর্তকর্তা মেনে সিলেটের আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মুজিববর্ষের সব কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন।
করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রাণঘাতীর করোনার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও যথাযথ পালন করা হচ্ছে না জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মহামারী করোনার প্রাণঘাতী আক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে সচেতনতার সহিত সরকারি নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে সব সর্তকর্তা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আর যারা নির্দেশনাবলি মেনে চলবেনা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জরিমানা দিয়ে কয়োরেন্টিনে থাকার নির্দেশনা বাধ্যতা মূলক রাখতে হবে ।