করোনা সতর্কতায় দেশের বিভিন্ন কারাগারে ৪০ বন্দি কোয়ারেন্টাইনে
দেশের বিভিন্ন কারাগারে মোট ৪০ বন্দিকে করোনাভাইরাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের গৃহীত পদক্ষেপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতের কারা অধিদফতরের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলা হয়, সর্বশেষ ২৮ মার্চের তথ্য অনুযায়ী দেশের কারাগারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোনো পজিটিভ কেস নেই। তবে অধিকতর সতর্কতার অংশ হিসেবে যদি কারো ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা গেলে তাদেরকে পৃথক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন কারাগারে মোট ৪০ বন্দিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। দেশের কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের কোনো পজিটিভ কেস পাওয়া গেলে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দিদের জন্য বিভাগভিত্তিক কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, পিরোজপুর, সিলেট, ফেনী ও দিনাজপুর জেলা কারাগারে আইসোলেশন সেন্টার গঠন করা হয়েছে।
করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ এড়াতে কারাগারে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সীমিত করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়, বন্দিরা যেন আত্মীয়-পরিজন নিয়ে উদ্বিগ্ন না হন সেজন্য জরুরি টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বন্দি ও স্টাফদের বিদেশ ফেরত আত্মীয়-স্বজনকে কারা এলাকায় প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কারা এলাকায় প্রবেশকারী সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম কানুন মেনে চলতে বাধ্য করা হয়েছে। হ্যান্ড ওয়াস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিউটিতে প্রবেশের আগে কমর্রত সকলের হাত ও বুট জুতা জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে যেন সংক্রমণ সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পৃথক করে ফেলা যায়।