ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে সাংবাদিক পীর হাবিবের ফেসবুক পোষ্টে তোলপাড়..
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে চিকিৎসার উদ্দেশ্য নিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছিলেন নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার। বিমানবন্দর থেকে তাকে ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তবে এই খবর ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে তাকে ঘিরে সৃষ্ট কিছু আপত্তিকর সংবাদের সৃষ্টি।
যদিও এরই মধ্যে এ বিষয়ে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন অনেকেই। 'অপছন্দ করেন বলে এমন প্রতিহিংসার নির্লজ্জতা!' শিরোনামে সোমবার দুপুর ২টা ২২ মিনিটে সৃষ্ট বিতর্কের কড়া জবাব দেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর নির্বাহী সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান।
নিউ ইয়র্ক মেইলের পাঠকদের উদ্দেশ্যে পীর হাবিবুর রহমানের ফেসবুক পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
নিউইয়র্কের করোনা যোদ্ধা মেডিসিনের ডা:ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে সমস্যাটিও কি প্রধানমন্ত্রীকে সমাধান দিতে হবে?নিউইয়র্কে তার করোনাযুদ্ধের বীরত্ব মানুষকে সেবাদান,সচেতনতা তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা, প্রবাসীদের মাঝেই জনপ্রিয় করেনি এদেশেও ইমেজ তৈরি করে।ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা।করোনাকালে গনমাধ্যম চিনিয়েছে।ভালো লেগেছে,দেশের দু:সময়ে তিনি মানুষের সেবায় অর্থ সময় নষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসেছেন।সাথে এনেছেন অনেক সুরক্ষা।এই সময়ে এটা কজন করে?
দুঃখজনক উন্মাদ কেউ কেউ তাকে খুনী বিশ্বাসঘাতক মোশতাক- রশীদের আত্নীয় বানালো!সরকারের খেয়ে পড়ে সরকারের প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল পদে বসে দলকানারাই ফেসবুকে অপপ্রচার করে। তাদের রাজনৈতিক নিয়োগ, কাজতো আর নাই!শত্রুর সাথে পান্জা লড়েনা,নিজের মানুষের বিরুদ্বে মিথ্যাচার করে কাপুরুষরা! আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা সুবিধাবাদী বিএনপি জামাত ও বঙ্গবন্ধু হত্যার ষঢ়যন্ত্রকারী এবং খুনীদের আত্নীয় স্বজনকে নিয়ে কথা বলেনা!
ফেরদৌস নেমেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দিলেন।অভিযোগ প্রমানের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন।বিকৃতদের মুখে এখন তালা।অন্যদিকে সরব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সেই সময়ের ছাত্রলীগ সভাপতি সহ নেতারা।বললেন, দুঃসময়ে ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রান ফেরদৌস শিবির বিরোধী সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রেখে কঠিন সময় পার করেন।সেই সময়ের তার ভূমিকার ছবিও আসছে।এদিকে ডা. ফেরদৌসের অ্যান্টিবডি সনদ থাকলেও তাকে প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।জনগণের টাকায় পড়াশোনা করে বিদেশ বসতি গড়া কজন ডাক্তার প্রকৌশলী দেশের দু:সময়ে ভূমিকা রাখেন? কেনো ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জঘন্ন মিথ্যাচার? নোংরামি?এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাই?তার অপরাধ কি? দেশকে ভালোবেসে মানুষের সেবায় ছুটে আসা? তিনিতো ব্যবসা মতলবে আসেননি! কোথায় পুরস্কার, তার বদলে তিরস্কার! লজ্জা। কিছু কুৎসিত মানুষকে করুনা।
জাতীয় অধ্যাপক আন্তর্জাতিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা:এ বি এম আব্দুল্লাহ ফেরদৌস খন্দকারকে মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে পারেন।প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন।