করোনা রোগীর জীবন বাঁচাতে ঢাকায় প্লাজমা দিলেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:
ঢাকায় কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি পেয়েই প্লাজমা দিলেন নিউ ইয়র্কের আলোচিত চিকসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার। করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে প্লাজমাদাতাদের জন্য উৎসাহি করতে আর্থিক সহায়তাও পুরষ্কার দেবার ঘোষনা দিয়েছেন তিনি।
রোববার সকালে কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের ৮ম তলায় প্লাজমা ডোনেশন সেন্টারে প্লাজমা দেন।
নিউ ইয়র্ক মেইলকে টেলিফোনে ডা. ফেরদৌস জানান, করোনায় আক্রান্ত মুমুর্ষ রোগিদের জীবন বাঁচাতে প্লাজমা চিকিৎসার ফলাফল খুবই ভালো। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশে এই চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যারা প্লাজমা নিচ্ছেন তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠছেন অল্প সময়ে। কিন্তু প্লাজমাদাতাদের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশে যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাদের প্লাজমা দিতে আগ্রহী করতে তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং পুরষ্কার দেয়ার ঘোষনা দিয়েছিলাম নিউ ইয়র্ক থাকতেই। এজন্য ঢাকা মেডিকেল ও সন্ধানী’র সাথে যোগাযোগ করেছি। এখানে যারা প্লাজমা দেবেন তাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে উপহার থাকবে।
তিনি বলেন, সামান্য এই প্লাজমা একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে তাই করোনা থেকে সেরে উঠা সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে গত ৭জুন কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে দেশে যান নিউ ইয়র্কের আলোচিত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার। কিন্তু ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ওই ফ্লাইটের সব যাত্রীরা বাড়িতে চলে গেলেও রহস্যজনক কারণে শুধুমাত্র ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে ফ্লাইটে উঠার পর তার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা প্রচারণা শুরু হয়। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সোস্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হয়।
নিউ ইয়র্কের জনপ্রিয় এই চিকিৎসক ঢাকা ও কুমিল্লায় “আরজেন্ট কেয়ার ক্লিানক” এর মাধ্যমে সাধারণ রোগিদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার কাজ শুরু করেছেন সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে।