শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 July, 2020 20:08

অবশেষে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই বিতর্কিত মহাপরিচালক

অবশেষে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই বিতর্কিত মহাপরিচালক

স্বপ্না চক্রবর্তী, ঢাকা​:
অবশেষে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিতর্কিত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিউইয়র্ক মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তার পদত্যাগের ব্যাপারে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, হ্যাঁ, তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে আমাকে তিনি জানাননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। দায়িত্ব পাওয়ার পর তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে আবার দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে চরম দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা শৈথিল্য এবং পক্ষপাত এবং নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়। বিশেষ করে দুর্নীতিবাজ একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে এই সেক্টরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। করোনা সংক্রমণের শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সীমাহীন দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট হতে থাকে।

সরকারের ভেতর থেকেও তাকে নিয়ে বিতর্ক, অসন্তোষ এমনকি দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার দাবি উঠলেও কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তাঁকে সরানো সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে।

বিতর্কিত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সারাদেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছিল সরকার। বিপত আঁচ করতে পেরে একের পর এক ব্যর্থতা দুর্নীতির অভিযোগ এবং অসংখ্য অপকর্মের দায়ভার মাথায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

উপরে