বাঁশের সাঁকো যেন মরণফাঁদ, ব্রীজ নির্মাণ দাবি
রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের সায়েরাবাদ গ্রামের নদীতে কোনো ব্রীজ না থাকায় পারাপারে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা৷ জরাজীর্ন বাঁশের সাকো পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা ৷ এ অবস্থায় একটি ব্রীজের দাবী করেছেন স্থানীয়রা৷
সরেজমিনে দেখা গেছে , রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের সায়েরাবাদ বাজারের দক্ষিন পার্শ্বের নদী উপরে একটি বাঁশের সাকো আছে ৷ প্রায় প্রতিবছর বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করতে হয় এলাকাবাসীর ৷ সারাবছরই পায়ের জুতা খুলে কাপড় ভিঝিয়ে নদী পার হতে হয়। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে চারদিকে কাঁচা রাস্তা ৷ ভারী হয়ে যায় লোকজনের চলাচল। ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন সাকো দিয়ে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ জনসাধারনের পারাপার হতে হয়৷ তবে বর্ষাকালে পানির স্তর বেড়ে সাঁকোটি ডুবে গিয়ে পরিণত হয় মরণফাঁদে ৷ কয়েকবার দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী৷
স্থানীয়রা জানান, নদীতে সেতু না থাকায় সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে তা আমরা জানিনা। তবে প্রতিবছর একবার করে এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে থাকি। তাছাড়া, এলাকায় য়েয়েছে অসংখ্য স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন পাঠাগার। তবে নদীর মধ্যে ব্রীজ না থাকায় বড় ধরনের সমস্যায় পড়ছি আমরা এলাকাবাসী।
গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গিয়াসউদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, বাগেরহাট ৩ আসনের এমপি ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি মন্ত্রানালয়ে এ বিষয়টি অবহিত করেছেন ৷ আমার এলাকায় এই বাঁশের সাঁকোর স্থলে ব্রীজ এবং কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হলে উন্নয়ন সম্পূর্ন হবে৷ এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন ৷