এমএ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে বন্ধ হচ্ছে কোভিড চিকিৎসা
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের প্রাণঘাতী মহামারি কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দীর্ঘদিন যাবৎ মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ও যন্ত্রপাতি ব্যয় করছে। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা সেবায় প্রয়োজন হচ্ছে পর্যাপ্ত জনবল। কিন্তু এসব হাসপাতালে কোভিড রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাওয়ায় সরকার বাধ্য হয়ে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালসহ দেশের ১১টি হাসপাতালের কোভিড -১৯ চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে করোনার যন্ত্রপাতি, অর্থ ও জনবল অকারণে পড়ে থাকায় প্রতিনিয়ত করোনার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য নিত্যদিন ৬০-৭০ লাখ টাকার ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে সরকার।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গেল ২৭ আগস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের নিকট লিখিত চিঠি পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হয়ে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় কোভিড -১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তিও প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় কিছু হাসপাতালে রেখে বাঁকিগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন।
দ্রুত বন্ধ করা হাসপাতালের সুপারিশকৃত নিরাময়ের মধ্যে রয়েছে- ঢাকার হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল। এদিকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইটি, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ভাটিয়ারি ফিল্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ প্রসঙ্গে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাশু লাল রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, করোনা চিকিৎসার বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে শুনেছি । কিন্তু এখনও আমাদের কাছে কোন প্রকারের করোনা চিকিৎসা বন্ধ করার চিঠি এসে পৌঁছেনি।