শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর শ্রীলঙ্কায় আগাম ভোটে বড় জয় পেল বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়ার জোট নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 19 March, 2021 19:40

শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী বইমেলা, বাড়ছে পাঠকের আনাগোনা

শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী বইমেলা, বাড়ছে পাঠকের আনাগোনা
ঢাকা অফিস :

বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলা। ঐতিহ্যের পরম্পরায় এবারও শুরু হয়েছে সেই আয়োজন। করোনা সংক্রমণের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে এবার বইমেলা শুরু করা যায়নি। 

করোনা মহামারির মধ্যেও নতুন ও পুরনো বইয়ের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
বেশিরভাগ নতুন বই এখনও আসেনি, তবে পাঠক-দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলায়। বিশেষ করে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বইমেলার প্রথম প্রহর পাঠকশূন্য কাটলেও বিকেলের পর থেকে মেলায় আসছেন মানুষজন। স্টল মালিকরাও পুরনো বইয়ের সঙ্গে সদ্য আসা গুটিকয়েক নতুন বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন স্টলে।

পাঠকেরা এখনও পুরনো বইয়ের পাতা ওল্টানোর মধেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন নিজেদের। অনেকে স্টলে স্টলে ঘুরে খোঁজ নিচ্ছেন নতুন বইয়েরও।

রফিকুল ইসলাম নামে এক পাঠক বলেন, মেলার প্রথম সপ্তাহ তো পুরনো বই দেখেই সময় কাটে। এই সময়টাতে নতুন বই খুব কমই পাওয়া যায়। আবার যেগুলো আসে, সেগুলো হুট করে কেনাও যায় না—মান যাচাই না করে। তাই নতুন বইয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা গড়ে ওঠে মূলত মেলার কয়েকটা দিন পার হলে।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বইমেলার প্রথম প্রহরে তেমন একটা দর্শনার্থী চোখে না পড়লেও বিকেল যত গড়িয়েছে, একটু একটু করে বইয়ের টানে বইমেলায় এসেছেন মানুষজন।

বাবা-মায়ের হাত ধরে ফাঁকা মেলা প্রাঙ্গণ রাঙিয়ে তুলেছিল আগত কিছু শিশু। আবার বাঙালি সাজপোশাকে মেলায় এসেছিলেন কয়েকজন বিদেশিনীও।

বিকেলে বইমেলায় কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মার্টিনের সঙ্গে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার এলেও বইমেলায় এবারই প্রথম এসেছেন তিনি। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বই আমার ভীষণ পছন্দের। বাংলাদেশের বইমেলার কথা শুনেছি। তবে এবারই প্রথম এই বইমেলায় এলাম। এটা অনেক বড় আয়োজন। এত বই দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।

চারদিকে এখন নতুন বইয়ের বিজ্ঞাপন। প্রতিটি প্রকাশনীই ব্যস্ত তাদের বই নিয়ে। এখন যেন সামান্য নিশ্বাস ছাড়ার ফুরসত নেই তাদের। সামনের দিনগুলোতে আরও অজস্র বইয়ের সম্ভারে গমগম করবে বইমেলা, এমনটাই জানাচ্ছেন তারা। বলছেন—পাঠকের তালিকা সংগ্রহ শেষ হলে মনোযোগ দেবেন বই কেনাতে।

এ বিষয়ে অনিন্দ্য প্রকাশের প্রকাশক আফজাল হোসেন বলেন, অনেক মানুষ এখনো ভাবছেন তারা কী করবেন। করোনার এই পরিস্থিতিতে বইমেলায় আসবেন নাকি আসবেন না। সেজন্যই এখন পাঠকের আগমনটা অনেক কম। এরপরও আমরা যদি এক মাসব্যাপী মেলাটা শেষ করতে পারি, সেটিই হবে সার্থকতা। আর এখন তো পাঠক শুধু বই হাতে নিয়ে দেখছেন, নতুন বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করছেন। বই বিক্রি এখন অল্প পরিমাণে হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই তা বেড়ে যাবে বলে আশা করছি। আর ততদিনে মেলায় চলে আসবে আরও নতুন নতুন বই।

এদিকে প্রকাশক যত্ন নিয়ে বইটা বের করলেও, পাঠক বইটা উল্টেপাল্টে দেখলেও এখনো নান্দনিক রূপে সেজে ওঠেনি পুরো বইমেলা। মেলার দ্বিতীয় দিন শেষেও অনেক স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হয়নি। কর্তৃপক্ষও শেষ করতে পারেনি বাথরুম, নামাজের ঘর এবং ঝড়-বৃষ্টিতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ। খাবারের স্টল আর লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণেও সেভাবে পসরা সাজিয়ে বসেননি কেউ। ফলে কোথাও যেন রয়ে গেছে একটু অপূর্ণতা। তবে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব দ্রুতই শেষ হবে এসব কাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই মেলা পাবে তার নান্দনিক রূপ।

উপরে