করোনা কেড়ে নিল কিংবদন্তী অভিনেত্রী কবরীর প্রাণ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী আর নেই। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ কবরীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
কবরী ছিলেন বাংলা সিনেমার 'মিষ্টি মেয়ে'। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিনের মাথায় চলে গেলেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা সময় তিনি চলে যান ক্যামেরার পেছনে। শুরু করেন সিনেমা পরিচালনা। তার পরিচালনায় নির্মিত সর্বশেষ ছবিটির কাজ অসম্পূর্ণই রয়ে গেল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) কবরীর ছেলে শাকের চিশতী এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মায়ের অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়, তিনি প্রাণপণ লড়ছেন। আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরবেন।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নন্দিত এই অভিনেত্রী।
১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম মিনা পালের (কবরীর পূর্ব নাম) শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে।
১৯৬৪ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নির্মাতা সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মিনা পাল থেকে কবরী হয়ে উঠেন তিনি।
দীর্ঘ তিন দশকের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমাতে।
২০০৬ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায়। ইদানীং তিনি দ্বিতীয় সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’ নির্মাণ করছিলেন।