শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 27 October, 2023 22:44

রাজনীতিকে বিদায় বললেন ড. কামাল হোসেন

রাজনীতিকে বিদায় বললেন ড. কামাল হোসেন
ঢাকা অফিস :

প্রবীণ রাজনীতিক, বঙ্গবন্ধু সরকারের আইনমন্ত্রী, সংবিধান প্রণেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন গণফোরামের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেন তিনি।

কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তথা গণফোরামের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’

লিখিত বক্তব্যে বর্ষীয়াণ এ রাজনীতিক বলেন, ‘দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপনাদের নিয়ে পথ চলেছি, জাতীয় সমস্যা ও সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এখন আর সক্রিয়ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তথা গণফোরামের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেশ ও জাতির জন্য আমার সাধ্য মোতাবেক অবদান রাখতে চেষ্টা করব। দলের প্রতিও আমার আন্তরিকতা, দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার আবেগ-অনুভূতি, সহানুভূতি-সহযোগিতা ও পরামর্শ সবসময়ই থাকবে। এ অবস্থায় গণফোরামের আজকের এই বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের অনুরোধ করব, আপনারা দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে আজ নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন।’

গণফোরামের নতুন নেতৃত্বের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকের এই কাউন্সিলে আপনারা গণতান্ত্রিকভাবে যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন, আমি আশা করব এই কমিটি আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা সর্বদা সক্রিয় সচেষ্ট থাকবেন। জয় হোক গণফোরামের, জয় হোক জনতার।’

ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা হিসেবেই অধিক পরিচিত। রাজনীতিতে তিনি সবসময়ই আলোচনায় থেকেছেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে পর ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর।

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-১৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯২ সালে গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। গণফোরাম গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে কামাল হোসেনের দলটি। ওই নির্বাচনে গণফোরাম থেকে দুজন সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন।

উপরে