আ.লীগ ৬৫ শতাংশ, স্বতন্ত্র পেয়েছে ২৪ শতাংশ ভোট
সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৬৫ শতাংশ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৪ শতাংশ ভোট। আর সংসদে বিরোধী দল হতে যাওয়া জাতীয় পার্টি পেয়েছে তিন শতাংশ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো ফলাফল থেকে তৈরি করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জয়ী ২২২ প্রার্থী তিন কোটি ২১ হাজার ২০০ ও দলটির বিজিত প্রার্থীরা ৩৮ আসনে ২৫ লাখ দুই হাজা ১১৮ ভোট অর্থাৎ দলটির প্রার্থীরা মোট ভোট পেয়েছেন তিন কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৩১৮ ভোটের মতো।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) জয়ী ১১ প্রার্থী নয় লাখ ৪৩ হাজার ৫১১ ভোট পেয়েছেন। দলটির বিজিত প্রার্থীরা পেয়েছেন সাত লাখ ৬২ হাজার ৩৪২টি ভোট। অর্থাৎ জাপার প্রার্থীরা পেয়েছেন ১৭ লাখ ৫ হাজার ৮৫৩ ভোটের মতো।
অন্যদিকে ৬২টি আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র থেকে বিজিত প্রার্থীরা ১৫৪ আসনে পেয়েছেন ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৪ ভোট। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন এক কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৩টির মতো ভোট।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন চার কোটি ৬৪ লাখ ৬৪ ভোট। অবশিষ্ট ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৩ ভোট জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং অন্য ২৩টি দলের বিজিত প্রার্থীরা পেয়েছেন, যা প্রদত্ত ভোটের ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।
২৯৮টি আসনের মোট ভোটার ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন। ভোট পড়েছে চার কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭ জন (৪২ শতাংশ)। এ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৫ শতাংশ ভোট।
আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ৩ দশমিক ৪ এক শতাংশ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর মধ্যে এক বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন বাতিল করে ইসি। আর অনিয়মের কারণে ভোটের ফলাফল স্থগিত রেখে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল করে ইসি। ওই কেন্দ্রে ফের ভোটগ্রহণ হবে ১৩ জানুয়ারি। আর নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন রোববার (০৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে ২৯৮ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২২, জাতীয় পার্টি ১১, কল্যাণ পার্টি একটি, জাসদ একটি ও বাংলাদেশের ওয়ারর্কার্স পার্টি একটি আসনে জয়লাভ করে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরই নেতারা জয়লাভ করেন ৬২টি আসনে।