বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা ১৭ জুন
বাংলাদেশের আকাশে আজ শুক্রবার (৭ জুন) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল শনিবার (৮ জুন) পবিত্র জিলহজ মাস গণনা করা হবে। ফলে, আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব সাহানে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, ওয়াকফ প্রশাসক মো. গোলাম কবীর (অতিরিক্ত সচিব), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. মামুন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৮ জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শনিবার ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষ করে পশু কোরবানি করে থাকেন।