সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র্যাপারের মৃত্যুদণ্ড
সরকারের সমালোচনামূলক গান করায় জনপ্রিয় র্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত। র্যাপারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিষয়টি ইরানের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনজীবী আমির রেসিয়ান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কেউ এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খোলেননি। গত বুধবার ইরানের সংবাদ আউটলেট শার্গ ডেইলিকে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী।
গত দুই বছর আগে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যান। সে ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয় দেশটির অনেক মানুষ। ইরানজুড়ে সে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ সে সময় রাজপথে নামেন।
আন্দোলনের সময় ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি ইরানের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের নানা রকম সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হন। বিভিন্ন সময় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন।
তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ডের সমালোচনা করেছে ‘দ্য রেকর্ডিং একাডেমি’। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘কোনো শিল্পী যখন শৈল্পিক কিছু নিজের মতো করে প্রকাশ করেন, তখন সেটা জীবনের জন্য ভয় বা হুমকির কারণ হতে পারে না। সব সময়ই সংগীত ভাব প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম। এই শিল্পীদের সুরক্ষায় আমরা আগেও কাজ করেছি। এখনো আমরা তাঁর পাশে আছি।’
সালেহিকে গ্রেপ্তার করা ও তাঁর শাস্তির ঘটনায় সমালোচনা জানিয়েছেন মার্কিন র্যাপার মিক মিলা। এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সালেহির মুক্তি চাই। কুর্দি ও ইরানি র্যাপার সামন ইয়াসিনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চাই। তাঁদের দ্রুত মুক্তি চাই।’
পুলিশের হাতে ২০২২ সালে গ্রেপ্তার হোন সালেহি। প্রাথমিকভাবে তাঁকে ছয় বছর তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। পরে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিনে বের হন। পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পরেই তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।
এই র্যাপারের মুক্তির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী নাজানীন বনিয়াদি, আরিয়ান মোয়েদ, মাজ জোবরানিসহ অনেকে।